রাজ্যের বহু ‘শিক্ষক’ এর বুক কাঁপছে, ঘুম ছুটে গিয়েছে, অথচ কাউকে দায়ি করতে পারছে না

রজত রায় ও রায়া গুপ্তাঃ কলকাতার একটি নামী বাংলা চ্যানেলে মাননীয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, যারা বেআইনি ভাবে স্কুলে চাকরি পেয়েছেন, তারা কেউ নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকবেন না, চাকরি যাবেই। আজ হাইকোর্টে মাননীয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ শোনার পর ঘুম ছুটে গেছে, রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে কর্মরত ‘বে –আইনি শিক্ষক’ দের। কারা কারা বেআইনিভাবে নিযুক্ত হয়েছেন, সিবিআই সেব্যাপারে তদন্ত করছে। আদালত তাদের আইনজীবীর কাছে সে ব্যাপারে জানতে চেয়েছেন। কিন্তু, সবচেয়ে ভালো জানেন, যারা বেআইনিভাবে চাকরিগুলি পেয়েছিলেন। রাজ্যের বহু জেলাতেই এই ‘শিক্ষক’রা ছড়িয়ে আছেন। তারা ভালোই জানেন, কীভাবে তারা চাকরি পেয়েছেন। 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বহু ব্যক্তি বলেছেন, তারা টাকা দিয়েছিলেন, চাকরি হয়নি। আবার টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, এরকম বহু ‘শিক্ষক’ আছেন। কারা কীভাবে, কী জন্য চাকরি দিল, এর জন্য টাকার রফা কী হয়েছিল, সেসব তদন্তের বিষয়। কিন্তু, মূল বিষয় হলো, এই মুহুর্তে ভয় ধরে গেছে সেই বে-আইনি নিযুক্তদের। চাকরি শুধু যাবে না, একইসঙ্গে যাবে সম্মনা, অর্থ। “মুখ দেখাবার জায়গা পাবেন না।“ এক বিরোধী নেতা বললেন। তার কথায়, “এদের জন্য কষ্টও হয়, সবাই যে অযোগ্য তাও নয়, ওরা জানতো, টাকা না দিলে চাকরি হবে না, তাই জমি বেচে শাসক দলের একশ্রেণির নেতাদের হাতে টাকা তুলে দিয়ে এসেছে। এখন একূল-ওকূল গেলো। ঘুষের টাকাও গেল, চাকরিও গেল, মাইনেও ফেরত দিতে হবে।“
বাস্তব অবস্থাটাও তাই। শাসকদলের কিছু নেতা-কর্মীদের জন্য দলের এই অবস্থা। দলের কিছু লোভী নেতাদের জন্য আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলকে ‘চোর’ অপবাদ শুনতে হচ্ছে।“ বললেন একাধিক তৃণমূল কর্মী। তাদের কথায়, এরা সংগঠন নিয়ে যত না ভাবে, বেশি ভাবে নিজেদের আখের গোছানোর শুলুক-সন্ধান করতে। দলের মাননীয়া নেত্রী ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বার বার সতর্ক করা সত্বেও এদের অনেকের হুশ ফিরছে না।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad