মমতার সঙ্গে সাক্ষাতের প্রসঙ্গ নেই হাসিনার সফরসূচিতে
9/01/2022 11:26:00 PM
0
রজত রায়, কলকাতা ও অলোকেশ শ্রীবাস্তব, নতুন দিল্লিঃ একেবারে প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রী তিনি শুধু নন, তিনি হলেন আর এক বাঙালি প্রধানমন্ত্রী। ভারত আর বাংলাদেশ, কিংবা পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ, কিংবা এপার বাংলা ও ওপার বাংলা। মাঝখানে একটা নদী পদ্মা। দুই দেশের বাঙালিদের মধ্যে এখনো আছে এক স্মৃতিমেদুরতা। ঢাকা, কলকাতা, পদ্মা, গঙ্গা যেখানে একাকার হয়ে যায়, বড় হয়ে ওঠে শুধু বাঙালি সত্বাটা। সেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার তিন দিনের সফরে ভারতে আসছেন, তিন বছর পর। কিন্তু, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে তার দেখা হওয়ার কোন পরিকল্পনা এই সফরসূচিতে নেই।
ভারত সফরে হাসিনার সঙ্গে থাকবেন তাঁর মন্ত্রীসভার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী, আমলা, সচিব, উপদেষ্টা সহ ঢাকার বাণিজ্য মহলের প্রতিনিধিরা। তিস্তা সহ অন্যান্য নদীর জলবণ্টন, ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানো, সীমান্ত সুরক্ষা, জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহের মতো বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হবে এই সফরে। দীর্ঘদিন ধরে তিস্তার জল-বন্টন বিষয়টা ধামাচাপা পড়ে রয়েছে। কাজেই, আশা করা যাচ্ছে তিস্তার বিষয়টা এবারে দু দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছেই একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠবে। তিস্তা নিয়ে আলোচনার জন্যই কি তিনি মমতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন? ঢাকার কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, প্রতিবারের মতো এবারের বৈঠকেও তিস্তার বিষয়টি তুলবে বাংলাদেশ। এর পাশাপাশি ৫৪টি অভিন্ন নদীর মধ্যে মনু, মুহুরি, খোয়াই, গোমতী, ধরলা ও দুধকুমারের জলবণ্টন নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার বিষয়টিও তোলা হবে।
২০১১ সালে তিস্তা জলবন্টন চুক্তি রূপায়ণে উদ্যোগ নিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছিলেন, এই বিষয়ে দু দেশের মধ্যে এখনও খানিকটা দূরত্ব রয়ে গিয়েছ। তিনি সেইসময় বলেন, যে সমস্ত কারণে চুক্তি আটকে রয়েছে তা কাটাতে উদ্যোগ নিচ্ছে কেন্দ্র। জাতীয় ঐক্য গড়েই চুক্তি রূপায়ণ করতে চায় কেন্দ্র। কিন্তু সেই ঐকমত্য গ়ড়তে কিছুটা সময় লাগবে। এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকালে তিস্তা চুক্তি সাক্ষর হওয়ার কথা থাকলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তিতেই শেষমেষ তা আটকে যায়।
Tags