খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগুন লাগা ট্রলারটি রাজবাড়ী থেকে নারায়ণগঞ্জের একটি পারটেক্স মিলে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে হরিরামপুর উপজেলার পদ্মা নদীর বাহাদুরপুর এলাকায় পৌঁছালে অন্য একটি ট্রলারে কয়েকজন লোক এসে তিন হাজার টাকা দাবি করে। পরে তাদেরকে দুই হাজার দুইশত টাকা দিলে রাগান্বিত হয়ে পাটকাঠিবোঝাই ট্রলারে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। ট্রলারে আগুন দেখে নদীর পাড়ের লোকজন ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে ট্রলারের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে প্রায় পঁচিশ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রলারের মাঝি আক্কাস আলী।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটা ট্রলারের মাঝি আক্কাস বলেন, বাহাদুরপুর এলাকা থেকে ছোট ট্রলারে করে ৯ থেকে ১০ জন লোক প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজি করে। পদ্মায় চলাচলকৃত ট্রলার ও বলগেট থেকে তারা চাঁদা আদায় করে। দাবিকৃত টাকা না দিলে তারা মারধোর করে। আমরাও তাই বাধ্য হয়ে তাদের চাঁদা দিয়ে থাকি। আজকে তাদের দাবিকৃত টাকা থেকে কম টাকা দেওয়ায় তাকে মারধোর করে এবং গ্যাসলাইট দিয়ে পাটখড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে তাদের ট্রলার পুড়ে ১০-১২ লাখ টাকা এবং ট্রলারে থাকা ১৫ লাখ টাকার পাটখড়ি পুড়ে গেছে বলে দাবি করেন তিনি।
হরিরামপুর ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সকালে পৌনে দশটার দিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি পাটবোঝাই একটি ট্রলারে আগুন জ্বলছে। আমরা প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি।
হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মিজানুর ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ দেওয়া হলে তদন্ত সাপেক্ষে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিবো। চাঁদাবাজির বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি দেখার দায়িত্ব নৌ-পুলিশের।
ফরিদপুর কোতয়ালী নৌ-পুলিশের ইনচার্জ এস আই শহিদুল ইসলাম বলেন, চাঁদাবাজির বিষয়টা জানা নেই। কেউ আমাদের কাছে এ বিষয়ে কোনো অভিযোগও দেয়নি।