নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পাশকুড়ার পূর্ব চিল্লকা গ্রামের বেআইনি বাজি কারখানায় বিষ্ফোরণ নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। যদিও, স্থানীয় মানুষের বক্তব্য দীর্ঘদিন ধরেই এখানে বোমা জাতীয় বাজি বানানো হত, তখন প্রশাসন নির্বাক ছিল। কিন্তু দুর্ঘটনা ঘটতেই টনক নড়লো প্রশাসনের। জানা গেছে, ইতিমধ্যে ২ জনের মৃত্যু ঘটছে এই বিষ্ফোরণে। একজন নবম শ্রেণির ছাত্র শম্ভু সামন্ত, অন্যজন স্বর্ণময়ী ভোক্তা। বাড়ির মালিকের স্ত্রী, বছর চল্লিশ বয়স। তমলুক হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এদিকে, বাড়ির মালিক শ্রীকান্ত ভোক্তা পলাতক। গ্রামের মানুষের অভিযোগ, এর আগে ওই পরিত্যক্ত বাড়িতে বোম বানানো নিয়ে তারা শ্রীকান্তকে জিজ্ঞাসা করেছিল। শ্রীকান্ত বলেছিল, সে আতস বাজি বানায়, তার বাজি বানানোর লাইসেন্স আছে। সেটা যে সত্যি নয়, তা এখন পুলিশী অভিযানের পর বোঝা যাচ্ছে।
এই বাড়িটিতে বিষ্ফোরণের সময় ঠিক কতজন ছিল তা এখনো পরিষ্কার নয়, তবে আহত হয়েছেন ৫ জন। এরা এই কারখানায় শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন কি না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। আর একটি বিষয় পুলিশের নজর কেড়েছে, তা হলো নবম শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু। সে শ্রীকান্ত ভোক্তাদের প্রতিবেশী। সে ঠিক কী কারণে ওখানে এসেছিল, বা ওখানেই কাজ করত কি না তা পরষ্কার নয়। আর একটি বিষয় পরিষ্কার নয়। সেটি হল, কিছু গ্রামবাসী বলছেন, ওখানে বাজি মজুত করে রাখা হতো। সেখানেই বিষ্ফোরণ ঘটে। তবে ইতিমধ্যেই ফরেন্সিক টিম পরীক্ষা করেছে। পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। সন্ধান করা হচ্ছে ওই বাড়ির ৫ পলাতকের।
’