কালীপুজো ও ছটপুজোয় শব্দবাজি নিয়ন্ত্রণ করতে হবেঃ বিজয়া সম্মিলনী মঞ্চে মমতা


শম্পা দত্ত, কলকাতা ও মানস পাল, হুগলিঃ কালীপুজো ও ছটপুজোয় শব্দবাজি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আজ বিকালে বিজয়া সম্মিলনী মঞ্চ থেকে এই বার্তা দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি বলেন, একজনের আনন্দ যেন অন্যের কষ্টের কারণ না হয়। 
 উল্লেখ্য, এর আগে কালীপুজো ও ছটপুজোয় পরিবেশ বান্ধব বাজি বিক্রি করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ, নিষিদ্ধ বাজি বিক্রির ব্যাপারে নজর রাখবে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে দুই কেন্দ্রিয় প্রতিষ্ঠান। আদালতের নির্দেশ কার্যকর করা হল কি না, হাইকোর্টকে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট দিতে হবে পুলিশ কমিশনারের তরফে।
 রাজ্যের পুলিশের পাশাপাশি ন্যাশানাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস সেফটি অরগানাইজেশন-কেও রাজ্যের বাজি বাজারে নজরদারি চালাতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। 


অন্যদিকে, দিল্লিতে আতশবাজি নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে আবেদনের জরুরি শুনানি আজ খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট । এদিকে হুগলি থেকে আমাদের প্রতিনিধি   মানস পাল জানাচ্ছেন, জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভয়ঙ্কর শব্দ বাজি ফাটানো হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশেষ করে শহরাঞ্চলের শ্রীরামপুর, রিষড়া ও গ্রামীন এলাকার তারকেশ্বর, জাঙ্গিপাড়া ও হরিপাল থানা এলাকা থেকে ব্যাপক অভিযোগ এসেছে। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, নিষিদ্ধ বাজি দেদারে বিক্রি হয়েছে দুর্গাপুজো ও লক্ষী পুজোয়। বেআইনি পথে জেলার বাজারে আসছে নিষিদ্ধ বাজি। গ্রামের দিকে বাড়িতে বাজি তৈরির অভিযোগও আসছে। এইগুলি আগে থেকে চিহ্ণিত করতা না পারলে পাশকুড়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে।

 অভিযোগ, বাড়িতে তৈরি গাছ বম ফাটিয়ে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের ও হার্টের রোগীদের জীবন ওষ্ঠাগত করে দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু এ ব্যাপারে পুলিশ বা প্রশাসন কোন নজর দিচ্ছে না বলে অভিযোগ। তারকেশ্বর, হরিপাল, ধনিয়াখালির শহর এলাকার বাড়ির সামনে যেভাবে নির্বিবাদে নিষিদ্ধ বাজি ফাটানো হয়েছে, তাতে কালী পুজো ও ছটপুজোর কথা ভেবে আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও  প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন, এই বিষয়টি মানবিকতার সঙ্গে দেখতে। একইসঙ্গে তাদের অনুরোধ, যেখানে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়, সেখানে নজর রাখার জন্য।
দুর্ভাগ্যের বিষয়, অনেকে পুলিশে অভিযোগ জানাতে ভয় পান, পাছে তাদের উপর যারা বাজি ফাটাচ্ছে, তারা চড়াও না হয়। তবে, জানা গেছে, পুলিশের পাশাপাশি ন্যাশানাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস সেফটি অরগানাইজেশনকে এই বিষয়টি দেখার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad