অলোকেশ শ্রীবাস্তব, ভয়েস ৯, নতুন দিল্লি ব্যুরোঃ অমানবিক ঘটনার সাক্ষী রইলো যোগী সরকারের রাজ্য। একদিকে দেখা গেল জনতার অমানবিক রূপ, অন্যদিকে পুলিশের মানবিক ছবি। এই দুই ছবির সাক্ষী রইল কনৌজ। একটি ১৩ বছরের মেয়েকে ধর্ষ্ণ করে রক্তাত অবস্থায় ফেলে গেল দুষ্কৃতিকারীরা। মেয়েটি যখন রাস্তায় পড়ে হাত নেড়ে সাহাজ্যের আবেদন জানাচ্ছে, অনেকে তখন ব্যস্ত, ভিডিও করতে। মেয়েটি যখন যন্ত্রণায় আর্তনাদ করছে, তখন অমানবিক জনতা সেই দৃশ্যকে ক্যামেরাবন্দী করছে, কে আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করবে, তার ই প্রতিযোগিতা।মেয়েটি যখন রাস্তায় পড়ে হাত নেড়ে সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছে, অনেকে তখন ব্যস্ত, ভিডিও করতে। মেয়েটি যখন যন্ত্রণায় আর্তনাদ করছে, তখন অমানবিক জনতা সেই দৃশ্যকে ক্যামেরাবন্দী করছে, কে আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করবে, তার ই প্রতিযোগিতা। অবশেষে এক পুলিশ কর্মী ওই নাবালিকাকে কোলে করে নিয়ে যায় হাসপাতালে।
অবশেষে এক পুলিশ কর্মী ওই নাবালিকাকে কোলে করে নিয়ে যায় হাসপাতালে। সে এখন ভর্তি কানপুরের একটি হাসপাতালে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই তরুণীর পরিচিত।
জানা গেছে, পি ডব্লিউ ডি গেস্ট হাউসের বাইরে একটি ভাঙা দেয়ালের পেছনে শুনশান একটি এলাকায় মেয়েটিকে ফেলে যাওয়া হয়।
ধর্ষণ করার পর অভিযুক্তরা মেয়েটির মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে।
কনৌজের পুলিশ সুপার এস পি কুনওয়ার অনুপম সিং বলেন, “রবিবার দুপুরে এক নাবালিকা নিখোঁজ হওয়ার পরে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল এবং সেই সন্ধ্যায় তাকে আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। তবে অভিযুক্তকে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি।“
তিনি বলেন, প্রোটেকশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস অ্যাক্ট (পকসো) এবং আইপিসি ধারা ৩৭৬ (ধর্ষণ), ৩৬৩ (অপহরণ), ৩০৭ (হত্যার চেষ্টা) এবং ৫১১ (যাবজ্জীবন বা অন্যান্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ করার চেষ্টা) এর অধীনে অভিযোগগুলি এফআইআরে যুক্ত করা হয়েছে।
মেয়েটি গুরুতর আহত হয়েছিল এবং এক পুলিশ অফিসার তাকে নিকটতম হাসপাতালে নিয়ে যান এবং পরে কানপুরের একটি হাসপাতালে তাকে রেফার করা হয়। তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন। তার অবস্থা আগের চেয়ে ভালো।“
জানা গেছে, পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকে জানানো হয় যে মেয়েটি বাজারে যাওয়ার জন্য বের হওয়ার পর আর ফিরে আসেনি। রবিবার সন্ধ্যায় তাকে আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা সন্দেহ করে যে কেউ তাকে যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করেছে এবং সে বাধা দেওয়ার পর অভিযুক্তরা তাকে আহত অবস্থায় ফেলে রেখে যায়।“
নাবালিকার ১৮ বছর বয়সী চাচাতো ভাই বলেন, "আমরা আমাদের দোকানে ছিলাম এবং মেয়েটি কিছু কিনতে বাইরে গিয়েছিল। অনেক ক্ষণ কেটে যাওয়ার পর ও ফিরে আসেনি দেখে আমরা সবাই তাকে খুঁজতে গিয়েছিলাম। বিকেল ৫টার দিকে আমরা গেস্ট হাউসের কাছে তার রক্ত ভেজা, অচেতন অবস্থায় দেখতে পাই। তার মাথা থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।"
জানা গেছে, নির্যাতিতা মেয়েটি ক্লাস ফাইভের ছাত্রী, চার সন্তানের মধ্যে মেয়েটি সবার বড়। পরিবারটি স্ন্যাকস বিক্রির করে একটি দোকান চালায়।
মেয়েটির চাচার দায়ের করা এফআইআরে বলা হয়েছে, "আমি সন্দেহ করি যে কোনও অপরিচিত ব্যক্তি আমার ভাগ্নিকে অন্যায়ের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে এবং নিয়ে যায় এবং যখন সে প্রতিরোধ করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, তখন তাকে অভিযুক্তরা আঘাত করে।“