দাইপুকুরিয়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলাম জানান, দুপরে সীমান্তবর্তী বিলভাতিয়া মাঠে প্রথমে নীলগাইটি দেখার পর স্থানীয়রা ধরার চেষ্টা করে। এসময় পশুটি ক্ষিপ্ত হয়ে দৌড়াতে শুরু করলে মির্জাপুর, দৌলতবাড়ি ও কামালপুরসহ কয়েকটি এলাকাজুড়ে প্রায় ৫ কিলোমিটার দৌড়ানোর পর বারিক বাজার এলাকার একটি আমবাগান থেকে স্থানীয়রা সুস্থ অবস্থায় পশুটিকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে নীলগাই ধরার খবর পেয়ে তা স্থানীয় প্রশাসন, বন বিভাগ (রাজশাহী) ও বিজিবিকে জানানো হয়।
বিকালে নীলগাইটিকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বিজিবি’র কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিজিবি চিকিৎসা দেওয়ার জন্য তাদের বিওপিতে নিয়ে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বন বিভাগের কাছে নীলগাইটি হস্তান্তর করা হবে।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হায়াত জানান, একটি নীলগাই স্থানীয়রা আটক করেছে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আমাকে জানিয়েছেন। জানার পর বন্যপ্রানী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। এর আগে জেলা প্রশাসেনর পক্ষ থেকে নীলগাইটি উদ্ধার করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পরে বন বিভাগের কাছে তা হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে ৫৯ বিজিবি’র অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আমীর হোসেন মোল্লা জানান, সন্ধ্যায় ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদর অফিসে নীলগাইটি নিয়ে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নীলগাইটির পেছনের অংশে ক্ষত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে রাজশাহী বন্যপ্রানী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তাদের খবর দেওয়া হয়েছে। বনবিভাগের লোকজন আসলে নীলগাইটি তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকৎসকরা এটিকে দেখবেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ ধরনের নীলগাই একটি বিরল প্রজাতির প্রাণী এবং হরিণের জাত।
ভারত, পাকিস্তান এবং নেপালে এদের সচরাচর দেখা গেলেও; বাংলাদেশে এ জাতটি একেবারেই বিরল। ধারণা করা হচ্ছে, ভারতের পাহাড়ি এলাকা থেকে সীমান্ত পেরিয়ে প্রাণীটি চাঁপাইনবাবগঞ্জে জলে এসেছে। উদ্ধারের সময় বিরল প্রজাতির নীলগাইটি এক নজর দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় করে বারিক বাজার এলাকায়।