Breaking News

6/trending/recent
সংবাদ ভয়েস ৯ বাংলাদেশ, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ ও অনাবাসী বাঙ্গালীদের প্রিয় নিউজ পোর্টাল হোয়াটসঅ্যাপ +৯১-৮৯২৭০৪২৫৯৪ সম্পাদক : তারক ঘোষ

Hot Widget

Type Here to Get Search Results !

১২ টাকা আর ১৭ টাকায় বিক্রি হয়েছে 'মৃত্যুর' টিকিট, পাঠানো হয়েছে বহন ক্ষমতার অতিরিক্ত ভার?

এফআইআর-এ কোথাও ওরেভা সংস্থা বা মালিকের নাম উল্লেখ করা হয়নি। অন্যদিকে, পৌরসভার দায়িত্বশীল আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি বলে অভিযোগ। 

  অলোকেশ শ্রীবাস্তব, নতুন দিল্লিঃ লোভ। এইভাবে বলা যেতে পারে গুজরাতের এই ভয়ঙ্কর ট্রাজেডিকে। একদিকে, 'ফিটনেস সার্টিফিকেট' ছাড়াই সেতু খুলে দেওয়া, অন্যদিকে সপ্তাহান্ত উপভোগ করার জন্য কেনা ১৭ টাকার টিকিটটি মৃত্যুর টিকিট হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। 
অভিযোগ, টাকা রোজগারের তাগিদে সুইং করা সেতুর ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক গুণ বেশি টিকিট বিলি করে অনেকের জীবন কেড়ে নিয়েছে ওরেভা সংস্থা। অবশেষে দায়ীদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হলেও বড় বিতর্কও তৈরি হয়েছে। পুলিশের অভিযোগে ৩০৪, ৩০৮ ও ১১৪ ধারায় সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণকারী সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। 
কিন্তু এফআইআর-এ কোথাও ওরেভা সংস্থা বা মালিকের নাম উল্লেখ করা হয়নি। অন্যদিকে, পৌরসভার দায়িত্বশীল আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি বলে অভিযোগ। ওরেভার মালিক পরিবার নিয়ে উদ্বোধন করতে এসেছিলেন। 
সেতু তৈরির পর উদ্বোধন করতে আসা ওরেভার মালিক জয়সুখভাই পরিবার নিয়ে পৌঁছে গেলেও দুর্ঘটনার পর পুলিশ একটি মামলা দায়ের করেছে, যেখানে জয়সুখভাই বা তাঁর সংস্থার নাম উল্লেখ করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
এরপর, পুরসভা বা প্রশাসনের কাছ থেকে এনওসি সার্টিফিকেট না নিয়ে ওরেভা সংস্থা ব্রিজ খুলে দেওয়ায়, তাদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়েরের দাবি উঠেছে। রবিবার এই ঘটনা জানাজানি হতেই স্তম্ভিত হয়ে যায় গোটা মোরবি। শেষে গতকাল রাতে পুলিশ বাদী হয়ে দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ৩০৪, ৩০৮ ও ১১৪ নম্বর মামলা দায়ের করে। আজ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, "যাদের জন্য ১৪১ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হলো, যাদের অবহেলার জন্য এই ঘটনা ঘটল, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। রাজ্য সরকার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এবং দুর্ঘটনার তদন্ত করবে।" 
 মোরবিতে সেতু দুর্ঘটনা সম্পর্কে পৌরসভার মুখ্য আধিকারিক সন্দীপ সিং জালা জানিয়েছিলেন, সেতুটি প্রস্তুত ছিল এবং পৌরসভার যাচাই-বাছাই ছাড়াই সেতুটি চালু করা হয়েছিল, তাই দায়ী সকলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা বলেন, বেসরকারি সংস্থাটি সেতুটি সংস্কার করার পর যাচাই-বাছাইয়ের সার্টিফিকেট, বহন ক্ষমতা সংক্রান্ত যাবতীয় রেকর্ড বাজেয়াপ্ত করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেতুর কাজে গাফিলতি বেরিয়ে এলে দায়ী সকলের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্য আধিকারিক।

Post a Comment

0 Comments

Top Post Ad

Below Post Ad