ভয়েস ৯, কেদারনাথঃ যারা শারীরিক কারণে সোনপ্রয়াগ থেকে পদব্রজে কেদারনাথ যেতে পারতেন না, বা বিকল্পের আশ্রয় নিতে হতো, তাদের জন্য
সুখবর। সোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথের মধ্যে শুরু হবে রোপওয়ে পরিষেবা। আর
আজ এই হেমকুণ্ড সাহিব রোপওয়ে
প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এই পরিষেবা শুরু হলে ৮ ঘন্টার পথ পার হতে সময় লাগবে ৪৫
মিনিটের মতো। আর এটিই হবে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১১,৫০০ ফুট (৩,৫০০ মিটার) উচ্চতায় বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ রোপওয়ে।
আজ সকাল সাড়ে ৮ টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী কেদারনাথে পৌঁছাবেন। তারপর কেদারনাথ মন্দিরে দর্শন ও পূজা
করবেন। সকাল ৯টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী কেদারনাথ রোপওয়ে প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন।
তিনি এখানে বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের সূচনা
করবেন। এরপর মন্দাকিনী অষ্টপথ, সরস্বতী অষ্টপথের মতো বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের পর্যালোচনা করবেন
প্রধানমন্ত্রী। তিনি এখানকার নির্মাণ শ্রমিকদের সঙ্গেও কথা বলবেন। এরপর তিনি আদি
গুরু শঙ্করাচার্য সমাধিস্থল পরিদর্শন করবেন এবং সকাল ৯টা ২৫ মিনিট নাগাদ
প্রধানমন্ত্রী মন্দাকিনী অষ্টপথ ও সরস্বতী অষ্টপথ বরাবর উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতি
পর্যালোচনা করবেন।
বদ্রীনাথ-কেদারনাথ মন্দির সমিতির
প্রধান পূজারি গঙ্গা ধর লিঙ্গা বলেন, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের আগে কেদারনাথে প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। কেদারনাথ-যাত্রীদের জন্য তিনি হেমকুণ্ড
সাহিব রোপওয়ের শিলান্যাস করবেন, তার প্রস্তুতি চলছে
জোরকদমে।“
তিনি জানান, “কোভিড-১৯
মহামারির কারণে প্রায় দু বছর ধরে মন্দিরটি বন্ধ ছিল, কিন্তু মন্দিরখোলার পর ভক্তের সংখ্যা বেড়ে
যায়। আগামী ২০ বছরের
তীর্থযাত্রীদের সংখ্যাকে ছাপিয়ে গেছে এ বছরে যাত্রীদের
সংখ্যা। এর আগে, এবার অক্টোবরে, ৫০০ থেকে ১,০০০ তীর্থযাত্রীরও দেখা পাওয়া অসম্ভব ছিল কিন্তু আজ এখানে
বাবা কেদারনাথকে প্রণাম করার জন্য প্রায় ২০,০০০ লোক আসে।“
জানা গেছে, কেদারনাথ রোপওয়ে দিয়ে সোনপ্রয়াগ থেকে
কেদারনাথের দূরত্ব হবে ১৩ কিলোমিটার। আর এই পথে থাকবে ২২ টি টাওয়ার। গৌরীকুণ্ড, চীরবাসা, লিঞ্চলি ও কেদারনাথ এই চারটি স্টেশনও থাকবে বলে জানা
গিয়েছে। এদিকে, রাম্বাদা
থেকে গরুরচট্টির মধ্যে ট্রেক রুট তৈরির প্রস্তাবেও সবুজ সংকেত দিয়েছে “ন্যাশনাল ওয়াইল্ড লাইফ বোর্ড”
সোনপ্রয়াগ থেকে
কেদারনাথের দূরত্ব হল প্রায় ১৮ কিমি। প্রাকৃতিকভাবে অত্যন্ত দুর্গম ওই পথটি পায়ে
হেঁটে পেরোতে সময় লেগে যায় প্রায় ৮ ঘণ্টা। এদিকে, ওই রাস্তা গাড়ি চলাচলের উপযুক্ত না হওয়ায় অন্য
কোনো উপায়ও থাকে না যাত্রীদের কাছে। কিন্তু, এবার সেই কষ্টের দিন শেষ। রোপওয়ে চালু হলে তীর্থযাত্রীদের
সংখ্যা আরো বাড়বে। এতদিন যারা দুর্গম বলে যেতে পারতেন না, তারাও অনয়াসে পৌছে যাবেন তাদের পুণ্যক্ষেত্রে।
ছবিঃ এ এন আই