নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, ২৫ থেকে ২৮অক্টোবরের মধ্যে প্রতিমা-নিরঞ্জন সারতে হবেই। এছাড়া, ২৫ ও ২৬ অক্টোবর ভরা কোটালের কারণে সেচ দপ্তরও বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে।
রজত রায়, কলকাতাঃ একদিকে নিম্নচাপ ও ঘুর্ণিচাপের ভ্রুকুটি, অন্যদিকে কালী-প্রতিমা
বিসর্জন। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নিতে শুরু করে দিয়েছে। বাতিল করা হয়েছে বেশ
কিছু দপ্তরের কর্মীদের ছুটি। উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে শনিবার খোলা হবে কন্ট্রোল রুম। সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎসজীবীদের।
কালীপুজোর সময় যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য সমস্ত জেলা-প্রশাসনকে
নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। কালীপুজোর বিসর্জন
নিয়ে জেলাশসকদের সঙ্গে গত শনিবার মুখ্যসচিবের একটি ভার্চুয়াল মিটিং হয়। নবান্ন সূত্রে
জানা গেছে, ২৫ থেকে ২৮অক্টোবরের মধ্যে প্রতিমা-নিরঞ্জন সারতে হবেই। এছাড়া, ২৫ ও ২৬
অক্টোবর ভরা কোটালের কারণে সেচ দপ্তরও বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে।
আসন্ন ঘুর্ণীঝড়ের কথা মাথায় রেখে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরকেও প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও ‘সিতাং’ এর সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত আবহাওয়া দপ্তর এর আগাম পূর্বাভাষে পরিবর্তন হতে পারে, তবু বলা হচ্ছে সোমবার কালীপুজোর দিন ও মঙ্গলবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্রই। দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের কয়েকটি জায়গায় আবার ভারী বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু তাই নয়, উপকূলবর্তী এলাকায় ৬০-৭০ কিমি বেগে ঝড় বইবে। ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৯০ কিমি।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রবিবার বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হবে গভীর নিম্নচাপ। সোমবার সেই নিম্নচাপটি পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড়ে। এরপর ধীরে ধীরে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে, ২৫ অক্টোবর সেই ঘুর্ণিঝড় পৌঁছে যাবে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূলের কাছে।