অক্টোবরের প্রায় মাঝামাঝি সময়ে দাঁড়িয়ে রাজ্য তথা দেশের নানাপ্রান্তে প্রকৃতির নানা খেয়ালী আবহাওয়া। কোথাও বৃষ্টি, কোথাও বন্যা, কোথাও বৃষ্টিহীনতা, কোথাও হড়পা বান।
সত্যি কি প্রকৃতি খামখেয়ালী, না কি মানুষ তার কৃতকর্মের মূল্য চোকাচ্ছে এবং আরো বড় মূল্য চোকানোর জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। কেউ কি আগে দেখেছে, কার্তিকের ভোর হওয়ার পর রোদের এত তেজ? বেলা সামান্য বাড়লে রোদের তেজে গা-হাত পুড়ে যাচ্ছে, দেখা দিচ্ছে র্যা শ। অনেকেই মনে করতে পারেন, না তারা আগে এরকম ঝকঝকে রোদ দেখেনি। আর বৃষ্টি। সময়ে নেই, অন্ততঃ দক্ষিণবঙ্গে।
কখনো উত্তরবঙ্গে মুষল্ধারে বৃষ্টি, কখনো দক্ষিণবঙ্গে। ঠিক বর্ষা নয়। আকাশে সেই শ্রাবনের মেঘ দেখেনি কেউ, বরং, দেখেছে এক ঘূর্ণিঝড়ের বৃষ্টির অচেনা চেহারা।
বদলাচ্ছে, পরিবেশ, প্রকৃতি। মানুষের এত অত্যাচার সহ্য করতে করতে নির্দয় হয়ে উঠছে পৃথিবী। রাস্তা জুড়ে বেড়েই চলছে মোটর বাইক। ধোঁয়ায় ঢাকছে পরিবেশ। বে-আইনি তিনচাকা ভ্যান বাতাসে বিষ মেশাচ্ছে, কেউ বলার নেই। আকাশ ঢাকছে পোড়া আবর্জনা আর ডিজেলের ধোঁয়ায়।
আচমকাই, তরুণ-তরুণী,যুবক-যুবতীদের চুল উঠে যেতে শুরু করেছে। এর কারণ কেউ বলতে পারছে না, একজন দুজন নয়, সংখ্যাটা ক্রমশঃ বাড়ছে। বদলাচ্ছে মানুষের আচার-ব্যবহার। অনেকেই বলবে, এর জন্যও কি দায়ী দূষণ? আমরা জানি না, বিজ্ঞানীরা এর উত্তর দেবে, আমরা শুধু জানি, আজ মানুষ প্রকৃতির উপর যে অত্যাচার চালাবে, কাল প্রকৃতি তা ফিরিয়ে দেবে।