নিষিদ্ধ্ব বাজি নিয়ন্ত্রণে কড়া কলকাতা পুলিশ, জেলা পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারদের, থানাগুলোকেও সক্রিয় হতে হবে, দাবি পরিবেশ কর্মীদের

রজত রায়, কলকাতা ও মানস রায়, হুগলিঃ এবারে, আদালতের নির্দেশে কড়া ব্যবস্থা কলকাতায়। একদিকে অপরাধ যাতে না হয়, সেটা দেখা, অন্যদিকে শব্দবাজি বা পরিবেশ দূষণকারী বাজি বিক্রি বা কেনার উপরেও রাখতে হবে কড়া নজর। নজর আছে, কিন্তু নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি কম হলেও, হচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে ‘সবুজ বাজি’র বিক্রেতাদের। 
পুজোর আগে থেকেই নিষিদ্ধ বাজি ফাটছে। যাদের কান আছে, তারা শুনছেন। যাদের কান থেকেও নেই, তারা শুনতে পাচ্ছে্ন না। যারা শুনছে, তাদের মুখ নেই বলার। কিংবা সাহস নেই। কেউ কেউ বলবে, বছরে তো ক’টা দিন ফাটাক না। তাহলে আদালতের নির্দেশ পালনের কী হলো? কাদের উপর তা পালন হচ্ছে কি না দেখার দায়িত্ব দিয়েছে আদালত? তাদের দেখা নেইরে… বলছেন বাজির শব্দ শুনতে পাওয়া মানুষজন। পরিবেশকর্মীদের দাবি, থানাগুলো কড়া না হলে অবস্থার হেরফের ঘটবে না।
জানা গিয়েছে, বিগত ২ দিনে সাড়ে সাত হাজার কিলো নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করেছে কলকাতা পুলিশ। ৪৫ জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। উৎসবের দিনে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে শহরকে রাখতে সাড়ে চার হাজার পুলিশ মোতায়েন রাখা হবে বলে কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য পথে থাকছে সাদা পোশাকের পুলিশের নজরদারি। 
জোরে গানবাজনার ওপরও কড়া নজর রাখতে হবে ক্লাবগুলিকে। যে কোনওরকমের অশান্তি হলেই স্থানীয় থানা, ফাঁড়ি ও পিকেটে থাকা পুলিশ কর্মীদের জানানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। পুলিশ ও আদালতের বেধে দেওয়া সব নিয়মকানুন মেনে ভাসান, শোভাযাত্রা করতে হবে। না হলে আইনানুগ ব্যলবস্থার মধ্যে পড়তে হবে পুজোর কর্মকর্তাদের।
অন্যদিকে, হুগলি গ্রামীণ পুলিশ ও চন্দননগর সিটি পুলিশের অভিযানে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৪০০ কেজির মতো নিষিদ্ধ বাজি। চন্দননগর পুলিশ এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে ৮ জন এবং হুগলি গ্রামীণ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে ৫ জন। হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত সুপার লাল্টু হালদার জানিয়েছেন, ‘চণ্ডীতলা, সিঙ্গুর এবং আরামবাগ থানা এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণে নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করা হয়েছে। গত কয়েকদিনে সবমিলিয়ে ৪৪৯ কেজি নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে আমরা মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।’ 
আরামবাগের এসডিপিও অভিষেক মন্ডল এর নেতৃত্বে খানাকুল থানা এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। এই তল্লাশি অভিযানে পুলিশ প্রায় ২০০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি আটক করে। গ্রেপ্তার করা হয় কয়েকজনকে। কিন্তু তোড়জোড় বিরাট হলেও মানছে কে? কতটা সক্রিয় পুলিশের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় পুরসভা বা পঞ্চায়েত কর্তারা? কতটা সচেতন স্থানীয় মানুষ? সচেতনতার জন্য কতটা প্রচার চালানো হয়েছে? প্রশ্ন বয়স্ক নাগরিকদের। 
তারা এখনো তাদের প্রিয় নেত্রীর দিকে তাকিয়ে যিনি বলেছেন, আনন্দ করুন , কিন্তু তা যেন অন্যের ক্ষতির কারণ না হয়।“

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad