ভিক্টোরিয়া ওবিডিনা, পেশায় সামরিক নার্স। তাকে বন্দী করা হয়েছিল আজোভস্টাল ইস্পাত প্ল্যান্টে। এরপর তাকে রাশিয়ার অধিকৃত ওলেনিভকা শহরের কুখ্যাত কারাগারে আটক রাখা হয়। তিনি জানান, “ওরা যে খাবার দিত, তা মানুষের খাবার যোগ্য নয়। বাইরে যাওয়ার অনুমতি ছিল না, এমনকি হাঁটার জন্য বাইরে যেতে দেওয়া হতো না। তার মেয়েকে পাঠানো হয়েছিল একটি অনাথ আশ্রমে। তার মুখে একটাই কথা – ওরা দানব।
নারী বন্দীদের রাখা হয়েছিল "তীব্র মানসিক চাপের" মধ্যে রাখা হয়েছিল। শিকার হতে হয়েছিল অপমানের, নির্যাতনের। চিকিৎসক তেতিয়ানা ভাসিলচেঙ্কো বলছিলেন তাদের বন্দী জীবনের কথা
বন্দীদের বাইরের কোন খবর পাওয়ার উপায় ছিল না।
ওরা আমাদের বলছিল যে আমাদের দেশের সবকিছু খারাপ ভাবে চলছে।
কিয়েভের কর্তৃপক্ষ অনুমান করে যে কয়েক হাজার ইউক্রেনীয়কে এখনও রাশিয়া যুদ্ধবন্দী হিসাবে ধরে রেখেছে। গুসেনোভা, পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের একজন স্বেচ্ছাসেবক, তিন বছর বন্দী অবস্থায় কাটিয়েছিলেন।
২০১৯ সালে তাকে রাশিয়াপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা আটক করে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি অনাথ শিশুদের উদ্দেশ্যে কিয়েভপন্থী বিবৃতি দিয়েছেন।
গুসেনোভা মানসিকভাবে আঘাত পেয়েছিলেন। কীভাবে বেঁচে ছিলেন, বুঝতে পারছেন না, হয়তো এই কথাগুলো বলার জন্যই।