একসময় অজন্তা ঘড়ি বা অরপ্যাট ঘড়ি, ক্যালকুলেটরের নাম সবাই জানতেন। এই অজন্তার মালিক ছিলেন ওধাভজিভাই প্যাটেল। প্যাটেল ১৯৭১ সালে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে তার ব্যবসা শুরু করেছিলেন, যা বর্তমানে প্রায় ১,২০০ কোটি টাকার। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির ৪৫টি দেশে ব্যবসা রয়েছে। ওরেভার বর্তমান এমডি জয়সুখভাই প্যাটেল মোরবির ঘড়ি শিল্পকে একটি বিশ্বব্যাপী বাজার দিয়েছেন। মোরবির এই জয়সুখভাই প্যাটেল ঘড়ি থেকে সিরামিক ও বাল্ব পর্যন্ত বিশ্বের শীর্ষ স্থান অর্জন করেছেন।
১৯৯৬ সালে, অজন্তার ঘড়ি ও অন্যান্য পণ্যের চাহিদা কমতে শুরু করে, তখন হোম অ্যাপ্লায়েন্সে প্রবেশ করে ওরেভা। তারপর ওরেভা প্রবেশ করে সিএফ এল ল্যাম্পের দিকে। জয়সুখভাই সিএফএল (কম্প্যাক্ট ফ্লুরোসেন্ট ল্যাম্প) নামটি শুনেছিলেন।
তিনি দেখতে পান যে সিএফএল অন্য যে কোনও প্রযুক্তির (সেই সময়ে) তুলনায় ৮০ শতাংশ কম বিদ্যুৎ দ্বারা চালিত হয়েছিল। এই কথা শুনে তিনি এই নতুন প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এরপর, ইলেকট্রিক স্কুটার। তিনি এরপর এলেন পুরানো ব্রীজ সংষ্কারের কাজে।
এরপর, পুরসভা বা প্রশাসনের কাছ থেকে এনওসি সার্টিফিকেট না নিয়ে ওরেভা সংস্থা ব্রিজ খুলে দেওয়ায়, তাদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়েরের দাবি উঠেছে। রবিবার এই ঘটনা জানাজানি হতেই স্তম্ভিত হয়ে যায় গোটা মোরবি। শেষে গতকাল রাতে পুলিশ বাদী হয়ে দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ৩০৪, ৩০৮ ও ১১৪ নম্বর মামলা দায়ের করে। আজ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, "যাদের জন্য ১৪১ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হলো, যাদের অবহেলার জন্য এই ঘটনা ঘটল, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। রাজ্য সরকার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এবং দুর্ঘটনার তদন্ত করবে।"
এখন পর্যন্ত যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা নীচুতলার কর্মী। উপরতলার কর্মীরা কোথায়? রাজ্যবাসীর প্রশ্ন, সত্যিই কি বিচার পাবেন নিহত মানুষজন, না কি ভোটের বাজারে একটা সাময়িক ইস্যু হয়ে আবার হারিয়ে যাবে, ফাইলের অন্তরালে?