মোরবি পৌর সংস্থার প্রধান সন্দীপসিংহ জালা বলেছেন, ওরেভা সেতুটি পুনরায় চালু করার বিষয়ে ওরেভা গ্রুপের কর্তৃপক্ষ তাদের জানায়নি এবং তাদের কোনো ফিটনেস সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি।
জানা গেছে, স্ক্যানারের আওতায় থাকা ওরেভা গ্রুপ, সিএফএল বাল্ব, প্রাচীর ঘড়ি এবং ই-বাইকগুলিতে বিশেষজ্ঞ। এটি কীভাবে ১০০ বছরেরও বেশি পুরানো সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পেয়েছিল,তা জানা যায়নি।
জানা গেছে, মোরবি মিউনিসিপ্যালটি এবং ওরেভা গ্রুপের একটি অংশ অজন্তা ম্যানুফ্যাকচারিং প্রাইভেট লিমিটেডের মধ্যে ১৫ বছরের চুক্তি হয়।
এই চূক্তি অনুসারে ওরেভা টিকিট বিক্রির মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে, মাথাপিছু সর্বোচ্চ ১৭ টাকা পর্যন্ত। রবিবার এইভবাএই অর্থ সংগ্রহ করেছিল দর্শনার্থীদের কাছ থেকে। অভিযোগ, প্রায় ৪০০ জনকে সেতুতে যেতে দিয়েছিল ওই সংস্থার কর্মীরা। প্রশ্ন, তারা কি জানতো না, সেতুটির ভার বহন ক্ষমতা কত?
ভারতের শীর্ষ স্থানীয় ফরেনসিক ল্যাবরেটরির সূত্র জানিয়েছে গুজরাটের মোরবির মাচু নদীর উপর তারের সেতুটি প্রচুর ভিড়ের কারণে ভেঙে পড়েছে। তাহলে দায় কার?
মানুষকে কি জেনেশুনে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হলো না?
সেতুটির পুনরায় খোলার কয়েক দিন আগে, গত ২৪ শে অক্টোবর ওরেভা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জয়সুখভাই প্যাটেল সাংবাদিকদের বলেছিলেন, "যদি লোকেরা সম্পত্তির ক্ষতি না করে দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করে তবে এই সংস্কারটি আগামী ১৫ বছরের জন্য স্থায়ী হতে পারে।"
এখন তিনি কী বলবেন, সেদিকে তাকিয়ে সংবাদ মাধ্যম। অতিরিক্ত ভার? এর জন্য দায়ী কে? সেতুটি যদি ঝাঁকানী খেয়েই ছিঁড়ে পড়ে, তাহলে কী মেরামতি হয়েছিল ৭ মাস ধরে?
অনেক প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে? শুধু চলে গেল অনেকগুলো স্বপ্নের প্রাণ। ক্ষতিপূরণ কি অর্থ দিয়ে হয়, প্রশ্ন অনেকের। তারা চান, সরকার দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করুক, অশুভ আঁতাত, যদি থেকে থাকে, তা বন্ধ হোক।