ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সিটি ইনভেস্টিগেশন বিভাগ এই অভিযান চালায়। অভিযানে দিকনির্দেশনা দেন ডিএমপির সিটিটিসির সিটি ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের উপ-পুলিশ কমিশনার এসএম নাজমুল হক।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মোঃ আব্দুল্লাহ (২২), মোঃ তাজুল ইসলাম (৩৩), মোঃ জিয়াউদ্দিন (৩৭), মো.মঃ হাবিবুবুল্লাহ (১৯) ও মোঃ মাহামুদুল হাসান (১৮)। গ্রেপ্তারের সময় তাদের হেফাজত থেকে তিনটি মোবাইল ফোন ও ফতোয়া সংক্রান্ত ১২ পাতা কাগজ উদ্ধার করা হয়।
ডিএমপি জানায়, সম্প্রতি কুমিল্লা থেকে সাত তরুণ নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হলে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) ছায়া তদন্ত শুরু করে।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লা থেকে হিজরতের উদ্দেশ্যে বের হওয়া আবরারুল হককে শনাক্ত করে গত ১৩ সেপ্টেম্বর তাকে রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শীর্ষ জঙ্গি ডাক্তার শাকির বিন ওয়ালীকে রামপুরার হাজীপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডাক্তার শাকির বিন ওয়ালী জানান, তিনি সংগঠনের ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়া’র দাওয়া বিভাগের প্রধান।
পুলিশের দাবি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা সকলেই নব্য উগ্রবাদী সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারব্বীয়া’র সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর ডেমরা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা রুজু হয়েছে।
এই সংগঠনের উদ্দেশ্য জঙ্গিবাদের জন্য সদস্য রিক্রুটমেন্ট, অর্থ সংগ্রহ, সশস্ত্র সামরিক ট্রেনিং, আধুনিক অস্ত্র ক্রয়সহ বিশাল জঙ্গি বাহিনী গঠন করা। এ পর্যন্ত প্রায় ৮০ জন এই সংগঠনের সদস্য হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রতীকি চিত্র