ঢাকা, বাংলাদেশঃ বাংলাদেশে কী চিনির সংকট দেখা দিল, নাকি এই সংকট সৃষ্টি ইচ্ছাকৃত? ক্রেতাদের অভিযোগ একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা তেলের মতো চিনির বাজারেও সিন্ডিকেট করেছেন। মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মুনাফা লুটছেন এই অসাধু ব্যবসায়ীরা। তারা এ ব্যাপারে সরকারী হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
জানা গেছে, খোলা
বাজারে সব জায়গায় চিনি না মিললেও রাজধানীর বেশ কিছু দোকানে চিনি মিলছে, তবে অনেক
বেশি দামে তা কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। কোথাও কেজি প্রতি ১০৫ টাকা, কোথাও ১১০ টাকা।
উল্লেখ্য, ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত ৬
অক্টোবর খোলা চিনির কেজি ৯০ এবং প্যাকেটজাত চিনির কেজি ৯৫
টাকা নির্দিষ্ট করেছিল।
অন্যদিকে, চিনির খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা সমস্ত দায় চাপিয়ে দিয়েছেন চিনি মিল
মালিকদের উপর। তারা বলেছেন, চিনি প্রস্তুতকারক মিল
মালিকরা বাজারে চিনি সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন। তাদের কাছ থেকে চাহিদা অনুযায়ী চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। ওরাই মজুত করে
সংকট সৃষ্টি করছেন বলে জানিয়েছেন চিনি-ব্যবসাদারেরা।
তবে এসব অভিযোগে আমল দেননি মিল মালিকরা। তাঁরা জানান, গ্যাস সংকটে
ভুগছে চিনি পরিশোধনকারী কারখানাগুলো।
কিন্তু, এই বক্তব্য,
পালটা বক্তব্যের মাঝে পড়ে দিশেহারা সাধরণ মানুষ। তারা এই সমস্যা থেকে মুক্তি
চাইছেন।