জানা গেছে, গুনা শহরের একটি খ্রিষ্টান মিশনারি স্কুলের অ্যাসেম্বলিতে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার পর 'ভারত মাতা কি জয়' স্লোগান দেয় এক ছাত্র। অভিযোগ, এরপর ওই ছাত্রকে ক্লাস করতে না দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘরে বসিয়ে রাখা হয়। শুধু তাই নয়, তারা শিশুটিকে ভারত মাতা কি জয় স্কুলে না বলে, বাড়ি ফিরে করতে বলেন। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরে অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়।ব্যাপক বিক্ষোভের পাশাপাশি স্কুলের বিরুদ্ধে অবস্থান ও বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।
এরপর বাবা-মা, সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা এবং হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি ক্রাইস্ট সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। স্কুলের গেটের সামনে হনুমান চালিশা পাঠ করেন তাঁরা। এরপরই অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। যে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, তাঁরা হলেন জেসমিনা খাতুন ও জাস্টিন।
নির্যাতিতের বাবা জানিয়েছেন, ভারত মাতা কি জয় বলায় তার ছেলেকে চার পিরিয়ডের জন্য ঘরে আটকে রেখেছিল। স্কুল থেকে ফেরার সময় শিশুটি খুব ভয় পেয়েছিল। তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে সব কথা বলে।
এদিকে, গুনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বীরেন্দ্র সিং বাঘেল জানিয়েছেন, 'ভারত মাতা কি জয়' স্লোগান দেওয়ার জন্য এক ছাত্রের শাস্তি নিয়ে কিছু অভিভাবক স্কুলের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ করেন। জেলা শিক্ষা আধিকারিক তাদের বক্তব্য রেকর্ড করেছেন।
মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র ঘটনার খবর পেয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, স্কুলের শিক্ষক জেসমিন খাতুন ও জাস্টিনের বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআরের খবর তিনি পেয়েছেন। তদন্ত চলছে এবং পুলিশ এই ঘটনায় ব্যবস্থা নেবে। তাঁকে জানানো হয়েছে, স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে ক্ষমা চেয়েছেন।