শীত পড়লে সত্যিই কি কমবে ডেঙ্গু? বিজ্ঞানীরা কী বলছেন?

 

সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড মস্কুটো প্রোগ্রামের গবেষকরা ইন্দোনেশিয়ায় সফলভাবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ওলবাচিয়া ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত মশা ব্যবহার করেছেন। বিজ্ঞানীরা কিছু মশাকে ওলবাচিয়া ব্যাকটেরিয়ায় দ্বারা সংক্রামিত করেছিলেন এবং তারপরে তাদের শহরে ছেড়ে দিয়েছিলেন। সেখানে তারা স্থানীয় মশার সঙ্গে প্রজনন করে, যতক্ষণ না এলাকার প্রায় সমস্ত মশা ওলবাচিয়া ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত হয়।
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ অনেক রাজনীতিবিদ, এমনকি পুরসভার প্রধানরা বলছেন, দেখুন না, শীত পড়লেই কমে যাবে ডেঙ্গু। আর এভাবেই তারা আশ্বস্ত করছেন নাগরিকদের। কিন্তু, বাস্তব তা বলছে না। উল্লেখ্য, ডেঙ্গু কিন্তু এপিডেমিক নয়, এন্ডেমিক। তাই, ভারত সহ বিশ্বের কয়েকটি দেশের মানুষের জীবনযাত্রার সঙ্গে মিশে আছে। কখনো এর প্রাদুর্ভাব বাড়ে কখনো কমে। স্থায়ীভাবে একে নির্মূল করার সম্ভাবনা এখনো পর্যন্ত নেই বললেই হয়। ফলে, ডেঙ্গু নিয়েই ঘর করতে হচ্ছে সকলকেই। 

কিন্তু সমস্যা ভিন্ন জায়গায়। তা হল, ডেঙ্গুর চারিত্রিক বিবর্তন। ফলে, সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানুষও আক্রান্ত হচ্ছে নানা ব্যধিতে। কমছে মানুষের অনাক্রমতা। মানুষের খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন, দূষণ সব মিলিয়ে মানুষ এখন অসহায়। আর একটি কারণে অসহায়, তা হলো, মানুষের স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে রাজনীতি ও দূর্নীতি। শিক্ষা স্বাস্থ্যে দূর্নীতি এমন এক দূর্নীতি, যা মানুষের জীবন ও ভবিষ্যত দুটোকেই শেষ করে দেয়। 


করোনার দাপট সামলে এই মুহুর্তে রাজ্যের মানুষের কাছে আতঙ্ক হয়ে উঠছে ডেঙ্গু। অনেকে আশায় আছেন, শীত এলেই ঠিক হয়ে যাবে, কমে যাবে ডেঙ্গুর মারণ মূর্তি। আইইডিসিআরের প্রাক্তন পরিচালক অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, 'সঠিক পরিস্থিতি থাকলে এডিস মশা শীতকালেও জন্মাতে পারে, এমনকি জানুয়ারির শেষের দিকে বা ফেব্রুয়ারি পর্যন্তও।“ 


উল্লেখ্য, এডিস এজিপ্টাই মশা দ্বারাই এই রোগটি মানুষের মধ্যে সংক্রামিত হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তের প্লেটলেট কমে যেতে থাকে, যার ফলে ব্যথা এবং গাঁটে ব্যথা, মাথা ব্যাথা এবং ফুসকুড়ি হয়। ভাইরাসটির ৪ টি সেরোটাইপ রয়েছে যা ডেঙ্গুর কারণ। এগুলোকে বলা হয় DEN-1, DEN-2, DEN-3, DEN-4। একটি স্ট্রেনের সঙ্গে সংক্রমণ শুধুমাত্র সেই নির্দিষ্ট স্ট্রেনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে পারে। কিছু বিজ্ঞানীদের মতে, তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রির নিচে নেমে গেলে ডেঙ্গু মশা বংশবিস্তার করতে পারে না। তারা সাধারণত আগস্ট-অক্টোবর সময়ের মধ্যে সক্রিয় থাকে, যা ম্যালেরিয়া এবং ডেঙ্গু উভয়ের জন্য সর্বোচ্চ সময়। শীতকালে খুব কমই সংক্রমণ দেখা গেছে। 
অথচ, এই নভেম্বরেও জম্মুতেও দাপট চালাচ্ছে ডেঙ্গু। কারণ কি? সত্যি কি ঠান্ডাতে কমে যায় ডেঙ্গু, না কি, ডেঙ্গুর ভাইরাসের মধ্যে নতুন জিনগত পরিবর্তন এসেছে? 
 সাম্প্রতিক একটি গবেষণা দাবি করছে Aegypti ডিম ৬ দিনের জন্য - ২ °C পর্যন্ত তাপমাতায় বেঁচে থাকতে পারে এবং বিকশিত হতে পারে। এটা নিয়ে আরো গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে তারা মনে করছেন। 

 সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড মস্কুটো প্রোগ্রামের গবেষকরা ইন্দোনেশিয়ায় সফলভাবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ওলবাচিয়া ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত মশা ব্যবহার করেছেন। বিজ্ঞানীরা কিছু মশাকে ওলবাচিয়া ব্যাকটেরিয়ায় দ্বারা সংক্রামিত করেছিলেন এবং তারপরে তাদের শহরে ছেড়ে দিয়েছিলেন। সেখানে তারা স্থানীয় মশার সঙ্গে প্রজনন করে, যতক্ষণ না এলাকার প্রায় সমস্ত মশা ওলবাচিয়া ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত হয়। ২৭ মাস শেষে গবেষকরা দেখতে পান যে, যেসব এলাকায় ওলবাচিয়া-সংক্রামিত মশা রয়েছে, সেখানে ডেঙ্গুর প্রকোপ ৭৭% কম। 

ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন সিওয়াইডি-টিডিভি বা ডেংভ্যাক্সিয়া ২০১৯ সালে মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন দ্বারা অনুমোদিত হয়েছিল। এটাই প্রথম ডেঙ্গু টিকা। ডেংভ্যাক্সিয়া মূলত একটি জীবন্ত, ক্ষয়িষ্ণু ডেঙ্গু ভাইরাস যা ৯ থেকে ১৬ বছর বয়সের লোকদের মধ্যে প্রয়োগ করা হয়। যা

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad