স্থানীয়রা জানায়, অন্যান্য দিনের মতো ভেড়ামারা উপজেলার বারোদাগ গ্রামের মৎস্যজীবী আবুল কালাম আজাদসহ বেশ কয়েকজন পদ্মা নদীতে মাছের আশায় জাল পেতে রাখেন। পরে জাল ওঠানোর সময় দেখতে পান ১০ ফুট লম্বা একটি ঘড়িয়াল জালে আটকে আছে।
জালে ঘড়িয়াল দেখে আঁতকে ওঠে সবাই। এ খবর গ্রামবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে সবার মধ্যে ছড়িয়ে পরে আতঙ্ক।
পরে বিষয়টি স্থানীয় বন বিভাগের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানানো হলে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সুস্থ অবস্থায় লালন শাহ্ সেতুর নিচে ছেড়ে দেওয়া হয় কুমিরটিকে।
জেলে সজল হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে জাল ফেলা হয়। পরে বড় আকারের কোনো মাছ ভেবে জেলে আজাদসহ কয়েকজনের সহায়তায় জাল টেনে তুলে দেখি এটি কোনো মাছ নয়, বরং জীবন্ত এক ঘড়িয়াল। যা দেখে আমাদের মধ্যে কেউ কেউ ভয়ে পালিয়েও যায়। পরে ঘড়িয়ালকে কৌশলে বস্তাবন্দি করে নদীর পাড়ে নিয়ে আসি। জালে আটকে পরা ঘড়িয়াল গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে সুস্থ অবস্থায় লালন শাহ্ সেতুর নিচে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বাহিরচর ইউপি চেয়ারম্যান রওশন আরা বলেন, উদ্ধারের সংবাদে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। বিষয়টি বন বিভাগের কর্মকর্তাদের জানানো হলে তাদের উপস্থিতিতে ঘড়িয়ালটি পদ্মা নদীতেই মুক্ত করা হয়।
এ বিষয়ে ভেড়ামারা বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, এই ঘড়িয়াল তেমন হিংস্র নয়, এরা মূলত মাছ শিকার করে খায়। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।