ইতিমধ্যেই, কেন্দ্রীয় খাদ্যসচিব সঞ্জীব চোপড়া দেশের সব রাজ্যের খাদ্যসচিবদের কাছে এই ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্ত পাঠিয়ে দিয়েছেন। তবে, এ ব্যাপারে আপত্তি তুলেছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। তাদের বক্তব্য, এভাবে ভাবে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন রেশন দোকানকে রাষ্ট্রের সম্পত্তি হিসাবে চিহ্ণিত করে দিলে, ক্ষতিগ্রস্ত হবেন রেশন দোকান মালিকরা।
তবে, রাজ্যের দাবিকে গুরুত্ব না দিয়ে কেন্দ্রিয় সরকার এই নতুন বিল আনতে বদ্ধপরিকর। কারণ কেন্দ্র চায় রেশন দোকানগুলিকে কেবল চাল-গম দেওয়ার দোকান হিসেবে ব্যবহার না করে এগুলিকে ‘কমন সার্ভিস সেন্টার’ হিসেবেও ব্যবহার করতে। তাই এই নতুন বিল।
জানা গেছে, এই মুহুর্তে সারা দেশে ৫ লক্ষ ৩৬ হাজার ৩৮টি রেশন দোকান আছে। এর মধ্যে ব্যক্তি মালিকানায় আছে ২ লক্ষ ২৮ হাজার ৩৫৩টি। এগুলিকেই স্থানীয় সমবায় সমিতি, স্বনির্ভর গোষ্ঠী কিংবা গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে মোদি সরকার। অবশ্য, নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নন।
তার মতে, এই ব্যবস্থা চালু হলে তা দেশের সমাজব্যবস্থা ও গণতন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকারক হবে। রাজ্যের এই বক্তব্য ইতিমধ্যেই কেন্দ্রকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, এই বিল পাশ করিয়ে মোদি সরকার দেশের রেশন ব্যবস্থাকে শিল্পপতির হাতে তুলে দিতে তারা এটাকে নিজেদের একটা ফুড সাপ্লাই চেইন হিসেবে কাজে লাগাবে।