মমতা বলেন,
"আমি মনে করি স্ট্যালিনজির সাথে দেখা করা এবং এক কাপ কফি পান করা আমার কর্তব্য। আমরা নমস্থে এবং ভানাক্কাম বলেছিলাম।"
অন্যদিকে,স্ট্যালিন মমতা ব্যানার্জীকে একজন গতিশীল ব্যক্তিত্ব হিসাবে প্রশংসা করেরে বলেন যে এটা একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি মমতা ব্যানার্জির কলকাতা সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।
কিন্তু, মমতার এই সফরকে নেহাতই 'সৌজন্যের' বলে মনে করছেন না, রাজনৈতিক মহলের একাংশ। ২০২৪ এ লোকসভা নির্বাচন। কাজেই মমতার এই 'সাক্ষাৎ'কে একটু অঙ্কের চোখে তারা দেখছেন। কলকাতা বিমানবন্দরে স্ট্যালিনকে 'রাজনৈতিক বন্ধু' বলেছিলেন মমতা।
কাজেই এই রাজনৈতিক বন্ধুর সঙ্গে নতুন কোন রাজনৈতিক সমীকরণ হয় কি না , সেদিকেই তাকিয়ে আছেন তারা। যদিও স্ট্যালিন এই 'রাজনৈতিক' বিষয়কে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলেছেন, আমি মমতাজীর ডাকে কলকাতা যাব। আর এটা নিছকই পারিবারিক সম্পর্ক।
তবে, এটা সত্য, জাতীয় রাজনীতিতে বিরোধী অবস্থানে তৃণমূল কংগ্রেসের গুরুত্ব অনেকখানি বেড়েছে। বিজেপি বিরোধী প্রধান মুখ যে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সে কথা বারবার বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তৃণমূলের নেতারা।
এদিকে, আজ কলকাতার একটি সংবাদপত্রে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেছেন,"সরকার এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে, কী করবে বুঝতে পারছে না, তাও মোদি হটাও। তার জন্য স্ট্যালিনের কাছে যেতে হবে, স্ট্যালিন তো টাকা দেবেন না। টাকা কেন্দ্র সরকার দেবে। সেই টাকা সৎভাবে ব্যবহার হওয়া উচিত।"