এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বুধবার এসব এজেন্টের সুবিধাভোগী দুশ’ হিসাব ফ্রিজ করেছে সংস্থাটি।
এদিকে অবৈধ হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠালে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগও (সিআইডি) সম্প্রতি বলেছে, বিকাশ, নগদ ও রকেটের মতো মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্তত পাঁচ হাজার এজেন্ট অবৈধ উপায়ে বিদেশ থেকে অর্থ আনা ও বিদেশে অর্থ পাঠানোয় জড়িত।
ফলে এগুলোর এজেন্টশিপ বাতিল করা হয়েছে।
এসব এজেন্টের মাধ্যমে চার মাসে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার প্রবাসী আয় বিতরণ হয়েছে। অর্থাৎ চার মাসে ২৫ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স থেকে বঞ্চিত হয়েছে দেশ। আর এক বছরে প্রায় ৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার বা ৭৮ হাজার কোটি টাকা দেশেই আসেনি। হুন্ডির সঙ্গে জড়িত ১৬ জনকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
‘হুন্ডি কারবারিরা’ এখন যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গ্রাহকের এমএফএস হিসাবের মাধ্যমে টাকা পৌঁছে দিচ্ছে। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা হিসাব ব্যবহার করেও হুন্ডির টাকা লেনদেন হয় বলে জোর অভিযোগ আছে।
সাম্প্রতিক সময়ে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নানা পদক্ষেপের পরও হুন্ডির মাধ্যমে দেশে অর্থ প্রেরণ থামছে না। বিভিন্ন দেশে হুন্ডি কারবারিদের অপতৎপরতার কারণে প্রবাসী আয়ের একটা বড় অংশ দেশে আসছে না। এর পরিবর্তে দেশে আসছে স্থানীয় মুদ্রায় অর্থ পরিশোধ করে দেয়ার সংকেত কিংবা মেসেজসংবলিত নির্দেশনা। সেই নির্দেশনা মেনে হুন্ডি কারবারিদের স্থানীয় প্রতিনিধিরা প্রবাসীর স্বজনের কাছে সরাসরি কিংবা তার নিজস্ব মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবের মাধ্যমে অর্থ পৌঁছে দিচ্ছে। মোবাইলে বিশেষ অ্যাপ ব্যবহার করে এই কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
এ প্রক্রিয়ার নাম দেয়া হয়েছে ডিজিটাল হুন্ডি।
এমন অবস্থায় বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোকে উৎসাহিত করতে বিদেশে বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা, সাবসিডিয়ারি ও একচেঞ্জ হাউসের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ সাপ্তাহিক ছুটির দিনসহ সাতদিনই স্বজনদের কাছে দ্রুত পৌঁছে দেয়ার ওপর জোর দেয়া হচ্ছে