সবমিলিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে সবাই চাইছেন আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ক যেন হাতছাড়া না হয়।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে তৃণমূল সরকারের কারা-মন্ত্রী কু-কথা বলার পর আদিবাসী সমাজের মধ্যে যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে, তা কিছুটা লাঘব করার জন্য আজ মমতা ব্যানার্জী হয়তো, তাদের স্বার্থে বেশ কিছু প্রকল্প ঘোষণা করতে পারেন। অন্যদিকে বিজেপির পক্ষ থেকেও বেশ কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যাতে তারা বোঝাতে পারেন, তারা রয়েছেন আদিবাসীদের পাশে। অর্থাৎ, কোথায় যেন সেই ভোটের রাজনীতি! সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তাই, রাজনীতির ঘোলা জলে সবাই ব্যস্ত মাছ ধরতে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আদিবাসীদের ক্ষোভ প্রশমনে, বিধায়কদের নির্দেশ দিয়েছেন, আদিবাসী এলাকায় তাদের প্রচার জোরদার করার জন্য। আদিবাসীদের জন্য তৃণমূল সরকার কী কী কাজ করেছে, তা তাদের বুঝিয়ে বলার জন্য। এছাড়া, রাজ্যের আদিবাসী সম্প্রদায়ের "সারনা" ধর্ম ও "সারি" ধর্মের স্বীকৃতির দাবিতে মমতা ব্যানার্জী ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দেন। অভিযোগ, কেন্দ্রিয় সরকার এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ করেনি। তাই গত ৬ জুলাই ২০২২ রাজ্য মন্ত্রিসভায় এই বিষয়ের উপরে রাজ্য একটি নির্দিষ্ট প্রস্তাব পাস করিয়েছে।
মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, উপজাতীয় সম্প্রদায়ের একটি অংশের জন্যে "সারনা" ধর্মের স্বীকৃতির বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে৷ এই বিষয়টাও আজ উঠতে পারে সমাবেশে।
কিন্তু, আদিবাসীরা আজ ঠিক কোন জায়গায়। উন্নয়নের কতটুকু ছোঁয়া তাদের জীবনে লেগেছে। বছরভর তারা কেমন থাকে? অনেক সমস্যা। রাজনীতির বাইরে বেরিয়ে তাদের সেই সমস্যাগুলোকে দেখা হোক এটাই দাবি আদিবাসী সমাজের একাংশের। তাদের রাজনীতির ‘তাস’ হিসাবে ব্যবহার না করে, এই ভারতের নাগরিক হিসাবে তাদের অভাব-অভিযোগ শোনা হোক। এই দাবি তাদের সব রাজনৈতিক দলের কাছে।
জানা গেছে, দুপুরে কলকাতা থেকে রওনা দেওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। ডুমুরজলা হেলিপ্যাড থেকে সরাসরি হেলিকপ্টারে ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ির হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে পৌঁছে দুপুর তিনটে নাগাদ যোগ দেবেন বিরসা মুন্ডা জন্মদিনের অনুষ্ঠানে। এদিন ঝাড়গ্রামে রাত্রিবাসও করবেন তিনি। বুধবার কলকাতায় ফেরার কথা মমতা মুখ্যমন্ত্রীর।