এর আগে, নতুন দিল্লি চীনের কাছে তাদের আপত্তির কথা জানিয়েছিল, কিন্তু কার্যত ভারতের আপত্তি অগ্রাহ্য করেই শ্রীলঙ্কার বন্দরে নোঙর করেছিল চিনের গুপ্তচর জাহাজ। এবারেও কি সেই একই ভাবে শ্রীলঙ্কার বন্দরকেই বেছে নিতে চলেছে চীনের এই জাহাজ?
ভারতের কে -4 সাবমেরিন-চালিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (এসএলবিএম) পরীক্ষা করার ঠিক আগেই এই জাহাজের আগমণকে কেন্দ্র করে নানা বিষয় উঠে আসছে। জানা গেছে, ভারতের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (এসএলবিএম) পরীক্ষাটি সম্ভবত ১০ থেকে ১১ নভেম্বরের মধ্যে কোনও এক সময় ওড়িশার কোনো একটি স্থান থেকে করা হবে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ২,২০০ কিলোমিটার পাল্লার।
আশঙ্কা এই ক্ষেপণাস্ত্র সংক্রান্তি যাবতীয় খুটিনাটি তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যেই এই চীনা জাহাজের আগমন। যদিও প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
জানা গেছে, এবার ‘উয়ান ওয়াং ছয়’ নামক ২২০০০ টন জাহাজের মধ্যে অত্যাধুনিক অস্ত্র ছাড়াও আছে নজরদারি করার নানান যন্ত্রপাতি। আছে ইলেক্ট্রনিক স্নুপিং এবং বেশ কিছু বড়ো মিসাইল যেগুলো ইন্দোনেশিয়া থেকে নিয়েই জাহাজটি ঢুকেছে ভারতের আইওআর জোনে।
ইতিমধ্যেই ওই জাহাজটিকে কড়া নজরদারিতে রাখছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ৪০০ জন সেনাকে ওই জাহাজের উপর সর্বক্ষণ নজর রাখার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।