বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে একটি বহুতলে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে যে ওই তরুণটি তাকে লিফটে ধর্ষণ করে এবং তাকে বিল্ডিংয়ের ১১ তম তলায় নিয়ে যায়। তারপর সে লিফট থেকে বেরিয়ে আসে এবং পালিয়ে যায়। তিনতলায় নিজের ফ্ল্যাটে ফিরে যায় ওই নাবালিকা।
তালোজা এমআইডিসি পুলিশ স্টেশনের একজন আধিকারিক জানান, "বাড়িতে এসে সে কান্নাকাটি ও বমি করতে শুরু করে। তার মা তাকে জিজ্ঞাসা করলেন কি ঘটেছে, এবং সে সমস্ত ঘটনা জানায়।" তার মা তৎক্ষণাৎ নীচে গিয়ে সিকিউরিটির সঙ্গে কথা বলেন। তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে কোনও অপরিচিত ব্যক্তি হাউসিং এ প্রবেশ করেছে কিনা।"
সিকিউরিটি দাবি করেন যে তিনি এমন কোনও ব্যক্তিকে ভিতরে যেতে দেখেননি। গোলমালের শব্দ শুনে অনেক বাসিন্দা নীচে নেমে এসে জানতে পারেন কী হচ্ছে। শিশুটির মা তাদের কী ঘটেছে তা জানায় এবং তারা লোকটিকে খুঁজতে শুরু করে। মেয়েটি হঠাৎ অভিযুক্তকে বিল্ডিং থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করতে দেখে চিৎকার করে।
মেয়েটি তার দিকে ইঙ্গিত করে বলেছিল যে সে তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। লোকটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল কিন্তু তাকে তাড়া করে ধরে ফেলা হয়েছিল। এরপর, তাকে তালোজা এমআইডিসি পুলিশ স্টেশনে নিয়ে আসা হয়।
একজন পুলিশ আধিকারিক জানান, "যখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তখন সে মেয়েটিকে ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করে।" জানা গেছে, মোহাম্মদ আখতার মাথার হুসেন (১৯) নামে ওই অভিযুক্ত এসি মেরামত করে। তিনি ওই বিল্ডিং এ একটি এসি পরিষেবা দিতে এসেছিলেন।
তালোজা এমআইডিসির সিনিয়র ইন্সপেক্টর জিতেন্দ্র সোনাওয়ানে জানান, "ধৃতকে আদালতে তোলা হলে পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়। তিনি অতীতে আর কোনো অপরাধ করেছেন কিনা তা পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ধর্ষণ) ধারা এবং প্রোটেকশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস (পকসো) আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এপিআই সতীশ গোরে এই অপরাধের তদন্ত করছেন।"