চিন সীমান্ত খুলে দিচ্ছে, আমেরিকায় আগত চিনাদের উপর নতুন কোভিড বিধি আরোপ করা হতে পারে

ভয়েস ৯, ইন্টারন্যাশানাল ডেস্কঃ বেইজিং জানুয়ারী মাসে তাদের সীমান্ত পুনরায় খোলার ঘোষণা করার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনাদের সে দেশে আগমনের উপর নতুন কোভিড বিধিনিষেধ আরোপের কথা বিবেচনা করছে।
 মার্কিন আধিকারিকরা বলছেন, চীনে এই ভাইরাসকে ঘিরে স্বচ্ছতার অভাবের কারণে এটা করা হবে। যেহেতু চিনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছ, তাই তাদের এ ধরণের সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে বলে আমেরিকা জানিয়েছে। 
অন্যদিকে, জাপান, মালয়েশিয়া এবং তাইওয়ান ইতিমধ্যেই কোভিড পরীক্ষা সহ চীনা ভ্রমণকারীদের জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বেইজিং বলেছে, কোভিড বিধি 'বৈজ্ঞানিক' ভিত্তিতে আনা উচিত। ভারতও চীনাদের এদেশে আগমনের উপর বেশ কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে।
আন্তর্জাতিক ভ্রমণ করতে ইচ্ছুক চিনা নাগরিকদের জন্য পাসপোর্টের আবেদন ৮ জানুয়ারি থেকে পুনরায় শুরু হবে বলে জানিয়েছে চিনের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। এদিকে, মার্কিন আধিকারিকরা বলেছেন,"চিনের সাম্প্রতিক কোভিড-১৯ এর ঢেউ এবং ভাইরাল জিনোমিক সিকোয়েন্স ডেটা সহ স্বচ্ছ তথ্যের অভাব নিয়ে বিভিন্ন দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ রয়েছে। 
অন্যদিকে, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন এর উত্তরে পশ্চিমা দেশগুলো ও গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে 'হাইপ আপ' এবং 'চীনের কোভিড নীতি সমন্বয়কে বিকৃত' করার অভিযোগ আনেন।
 তিনি বলেন, চীন বিশ্বাস করে যে সব দেশের কোভিড প্রতিক্রিয়া "বিজ্ঞান-ভিত্তিক এবং আনুপাতিক" হওয়া উচিত এবং "সাধারণ মানুষ-থেকে-মানুষে বছড়িয়ে পড়াকে প্রভাবিত করা উচিত নয়"।
ওয়াং 'নিরাপদ আন্তঃসীমান্ত ভ্রমণ নিশ্চিত করা, বৈশ্বিক শিল্প সরবরাহ শৃঙ্খলের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও প্রবৃদ্ধিকে উৎসাহিত করার জন্য যৌথ প্রচেষ্টার আহ্বান জানান। চীনে দৈনিক কোভিড কেস এবং মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা অজানা। 
কারণ আধিকারিকরা ওই তথ্য প্রকাশ করা বন্ধ করে দিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে হাসপাতালগুলি উপচে পড়েছে এবং বয়স্ক লোকেরা মারা যাচ্ছে। গত সপ্তাহে, বেইজিং প্রতিদিন প্রায় ৪,০০০ নতুন কোভিড সংক্রমণ এবং অল্প সংখ্যক মৃত্যুর খবর দিয়েছে। 
চীনের সীমান্ত পুনরায় খোলার বিষয়ে সোমবারের নোটিশের আধ ঘণ্টার মধ্যে, ভ্রমণ সাইট Trip.com যে তথ্য দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে - জনপ্রিয় গন্তব্যগুলির অনুসন্ধান গত বছরের তুলনায় দশগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেখা গেছে, ম্যাকাও, হংকং, জাপান, থাইল্যান্ড এবং দক্ষিণ কোরিয়া চিনাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় গন্তব্যস্থল।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad