জানা গেছে, কুরুল গ্রামের অক্ষয় রাউত ও বিকাশ জৈন খুব ভাল বন্ধু ছিলেন। বিকাশ প্রায়শই অক্ষয়ের বাড়িতে যেতেন এবং মজা করতেন। ধীরে ধীরে বিকাশ এবং অক্ষয়ের স্ত্রী সুনীতা একে অপরের প্রতি প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। একবার, তারা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার চেষ্টা করেছিল। তবে তখন গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় বিষয়টি মিটে যায়।
এ বার ফের একবার পালিয়ে গেলেন এই জুটি।
অথচ, বিকাশ এবং তাঁর স্ত্রী মুসকান করবা চৌথ উপলক্ষে একে অপরের হাতে ট্যাটু খোদাই করেছেন। বিকাশ যখন মুসকানের নাম তার হাতে খোদাই করে রেখেছিল, তখন মুসকান উৎসবের সময় তার হাতে বিকাশের নাম খোদাই করেছিল। তাই, বিকাশের স্ত্রী মুসকান তার স্বামীকে খুঁজে বের করার জন্য স্থানীয় পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এদিন অক্ষয় সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান মেনে, বিদেহী আত্মার পূজা দেওয়া থেকে শুরু করে তার আত্মীয় এবং গ্রামবাসীদের জন্য একটি ভোজের আয়োজন পর্যন্ত করেন। তিনি বলেন, “আমাদের গ্রামে আমরা কিছু নিয়ম মেনে চলি। আমরা আমাদের নিয়ম না মেনে সমাজে বাস করতে পারি না। সুনীতা বিকাশের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার পরে আমাদের গ্রামে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং তখন গ্রামবাসীরা আমাকে তার মৃত্যুর আচার-অনুষ্ঠান পালন করার পরামর্শ দিয়েছিল।“
তিনি আরও বলেন, “আমার কাছে সুনীতা এখন মারা গেছে কারণ সে আমাকে এবং আমাদের বাচ্চাদের ছেড়ে চলে গেছে। এখন আমাকে সমাজের সঙ্গে থাকতে হবে। তার আদেশ পালন করা ছাড়া আমার আর কোনো বিকল্প নেই। এ কারণেই আমি তার জন্য মৃত্যু-সম্পর্কিত সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান পালন করেছি।“
মজার ব্যাপার হল, সুনীতা ও বিকাশ দুজনেই আলাদা ভাবে বিয়ের ১৩ বছর কাটিয়েছেন এবং উভয়েরই দুটি করে সন্তান রয়েছে।