জেলার চারটি মহকুমার চারটি জায়গায় এই মেলা হবে বলে জেলা স্বাস্ত্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
জেলার মধ্যে আরামবাগ মহকুমার জন্য মেলার স্থান নির্বাচন করা হয়েছে কামারপুকুরে, সদর মহকুমার মেলা হবে ধনিয়াখালিতে, চন্দননগর মহকুমার মেলা সিঙ্গুরে ও শ্রীরামপুর মহকুমার মেলা অনুষ্ঠিত হবে চন্ডীতলাতে।
এই মেলাগুলিতে উপস্থিত থাকবেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকদের পাশাপাশি জেলা তথা মহকুমার বিশিষ্ট (যোগ, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক) আয়ুশ চিকিৎসকরা।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সঙ্গে ভারতেও এই মুহুর্তে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা সমস্যা, বাড়ছে লাইফ-স্টাইল ডিজিজও। উচ্চ-রক্তচাপ, মধুমেহ অর্থাৎ ডায়াবিটিস, হৃদরোগ, হাইপার-টেনশন এই মুহুর্তে সব শ্রেণির মানুষের কাছে বিশেষ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর উপর করোনা পরিস্থিতি মানুষের মধ্যে জন্ম দিয়েছে উদ্বেগ।
ফলে, মানসিক স্বাস্থ্যও অবনতির শিকার। এই মেলার উদ্দেশ্য হলো মানুষের কাছে এই সমস্ত রোগ থেকে মুক্তির উপায় ব্যাখ্যা করা, বিভিন্ন ধরণের রোগ নিয়ে আলাদা আলাদা সেমিনার, যোগ, আয়ুর্বেদ ও হোমিওপ্যাথির সাহয্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া রোগ নির্মূলের জন্য চিকিৎসা করা ও সাধারণ মানুষকে এই ধরণের ‘নন-কমিউনিকেশন’ রোগ সম্পর্কে সচেতন করা।
ধনিয়াখালি গ্রামীন হাসপাতালে এই মেলা শুরু হচ্ছে আগামি ৯ জানুয়ারী থেকে। চলবে ১১ জানুয়ারী পর্যন্ত।
সিঙ্গুর গ্রামীন হাসপাতালে এই মেলা চলবে ১১ জানুয়ারী থেকে ১৩ জানুয়ারী পর্যন্ত, কামারপুকুর ব্লক প্রাইমারী হেলথ সেন্টারে এই মেলা চলবে ১৮ জানুয়ারী থেকে ২০ জানুয়ারী পর্যন্ত। চন্ডীতলা গ্রামীন হাসপাতালে এই মেলা শুরু হবে ১৬ জানুয়ারী, শেষ হবে ১৮ জানুয়ারী।
জানা গেছে, এই মেলাতে আগত এলাকাবাসীদের মধ্যে নানা ধরণের ওষধি গাছের চারা বিতরণ করা হবে।
বিশিষ্ট হোমিওপ্যাথি তথা আয়ুশ চিকিৎসক ডক্টর বিশ্বনাথ মুখার্জী জানান, একেবারে গ্রামস্তরে আয়ুশ চিকিৎসাকে পৌঁছে দেবে এই মেলা। মানুষ যেমন তার বাড়ির পাশে থাকা ওষধি গাছ চিনতে ও তার গুণাগুণ জানতে পারবেন, তেমনই, ‘হোম রেমেডি’ হিসাবে রোগমুক্তির উপায়ও জানতে পারবেন। তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে এই মুহুর্তে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার সাহায্যে বহু জটিল রোগ থেকে মুক্তি পাচ্ছে মানুষ। এই মেলায় সে সম্পর্কিত সেমিনার যেমন থাকছে, তেমনই থাকছে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থাও।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে প্রাপ্ত এই মেলার বিশেষত্ব
১. বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির
২. ঔষধি পরিকল্পনা প্রদর্শন
৩. সাধারণ রোগের চিকিৎসার জন্য ঘরোয়া প্রতিকার প্রদর্শন।
৪. যোগ প্রদর্শন
৫. আয়ুষ চিকিৎসা পদ্ধতির প্রচার
সচেতনতার অঙ্গ হিসাবে থাকছে নাটক, পুতুল নাচের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগ ও আয়ুশে তার প্রতিকারের উপায়, কুইজ, স্কুল পড়ুয়াদের জন্য ‘বসে আকো প্রতিযোগিতা।, বিতর্ক, আয়ুশ সম্পর্কিত বক্তৃতা, টক-শো, কবিগান/ লোকগান / লোকনৃত্য, আয়ুশ সম্পর্কিত পুস্তক প্রদর্শন ইত্যাদি।