এই ৬৭ বছর বয়সী মুসা হাসাহিয়া এখন অনুরোধ করেছেন যে তার স্ত্রীরা যেন জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবহার করে, যাতে তারা খাবার কিনতে পারে। এতদিনে তিনি বুঝেছেন। তাই বলেছেন, 'জীবনযাত্রার ব্যয় যেমন বেড়েছে, তেমনই বছরের পর বছর ধরে আমার আয় ক্রমবর্ধমানভাবে কমে গেছে, আর আমার পরিবার ক্রমবর্ধমান ভাবে বড় হয়ে উঠেছে।'
'একের পর এক বিয়ে করলেন কেন?'
এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,'একজন পুরুষ কীভাবে একজন মাত্র নারীর উপর সন্তুষ্ট হতে পারে?'
আসলে,উগান্ডার রাজধানী লুসাকায় বহুবিবাহ বৈধ। আর সেখানেই তাই ১২ জন স্ত্রী নিয়ে নিশ্চিন্তে বাস করছিলেন মুসা। কিন্তু, এবার অর্থনৈতিক চাপ।
তাই এবার মন থেকে বিয়ে করার নেশাটা বাদ দিতে চাইছেন। জানা গেছে, তার বড় সন্তান তার কনিষ্ঠ স্ত্রীর তুলনায় ২১ বছরের বড়। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় মুসা বলেছেন, তিনি তার সব স্ত্রীকে একই বাড়িতে রাখেন, যাতে তিনি তাদের 'মনিটর' করতে পারেন এবং অন্য পুরুষের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া থেকে আটকাতে পারেন।
তার কনিষ্ঠ স্ত্রী জুলাইকা বলেন, "আমি তার ১১ সন্তানের মা। আমি জন্ম নিয়ন্ত্রণের পিল নিচ্ছি কারণ আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ।" মুসা হাসাহিয়া বাড়িতে তার এক-তৃতীয়াংশ সন্তান রয়েছে, যাদের বয়স ছয় থেকে ৫১ বছর।