ফলে খেজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন এই অঞ্চলের গাছিরা। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জে দিনে কিছুটা গরম আর বিকেল থেকে রাত ও সকালে কুয়াশা আর ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে সেই নভেম্বর মাস থেকে। এখনো শীতের তীব্রতা তেমন না হলেও এরই মধ্যে রস সংগ্রহ শুরু করেছেন রাজশাহী অঞ্চলের গাছিরা।
যেহেতু গ্রামীণ জনপদের নবান্ন উৎসবের অপরিহার্য উপাদান খেজুরের রস আর গুড়। তাই শীতের শুরু থেকেই খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহে ব্যস্ত হন গাছিরা। শীতের সকালে নানাভাবে খাওয়া হয় এই রস।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল, ভোলাহাট, গোমস্তাপুর, রহনপুর, শিবগঞ্জ, কানসাট এবং যশোরের মনিরামপুর, কেশবপুর, ঝিকরগাছা, অভয়নগর,বাঘারপাড়া, চৌগাছা, শর্শাসহ বরেন্দ্র এলাকাগুলোতে খেজুর গাছে গাছিরা রস সংগ্রহের জন্য নিয়েছেন নানা প্রস্তুতি। খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার ও গাছের উপরিভাগে ধারালো হাসুয়া দিয়ে ছিলে রাখেন তারা রস সংগ্রহের জন্য।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও যশোরের বিভিন্ন উপজেলার মফস্বল প্রান্তে দেখা মিলে সারি সারি খেজুরের গাছ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। এক সময় দেখা মেলে গাছিয়াল খানের সঙ্গে। তিনি জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার কাঁচা ও পাকা সড়ক পথ, রেল লাইনের দুই ধার, জমির আইল, বাড়ির আঙ্গিনাসহ বিভিন্ন পতিত জায়গায় ছড়িয়ে আছে কয়েক লাখ খেজুর গাছ। শীতের প্রথমে আমরা খেজুর গাছ ছিলে ও পরিষ্কার করেছি। আর ছিলার ১০ থেকে ১৫ দিন পর সে ছিলাস্থান থেকে রস সংগ্রহের জন্য মাটির পাত্র বেঁধে রাখি যেখানে জমা হয় সুমিষ্টি রস।
তিনি জানান, প্রতিবছর শীতের কয়েকটি মাস খুব পরিশ্রম করতে হয় আমাদের। খুব ব্যস্ত সময় পার করছি খেজুর গাছের পেছনে। কিন্তু শীতের মাস শেষ হতে চললেও গাছে খুব বেশি রস হচ্ছে না। তবুও নিজেদের সংসার বাঁচাতে ও শহরের বাসিন্দাদের খেজুর রস ও খেজুর গুড়ের চাহিদা মেটাতে গাছের রস সংগ্রহ করতে যেতে হচ্ছে কষ্ট করে।