অমরবাণী
শ্রীবাবাজী মহারাজ লিখছেন—“বাবা (শ্রীজানকীদাসজী কাঠিয়াবাবা মহারাজ ) আশ্রম ত্যাগ করে চলে যাবার পর কোন এক সময় বাবার কোন এক গুরুভাই শ্রীশ্রী দাদাগুরুজী মহারাজকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন – ‘শ্রীজানকীদাসজী আপনাকে ছেড়ে চলে চলে গেলেন কেন?’ এর উত্তরে শ্রীশ্রী দাদাগুরুজী মহারাজ ‘অভি’ বলে চুপ করে যান।
তিনি বলতে চেয়েছিলেন যে, স্বামী জানকীদাসজী অভিমান করে চলে গিয়েছেন। কিন্তু, তিনি অভিমান কথাটি শেষ করেন নি।
কারণ, তিনি জানতেন বাবা অভিমান করে তাকে ছেড়ে যান নি। কারণ, অভিমান প্রভৃতি ক্ষুদ্র মানসিক দূর্বলতা বাবা বহু আগেই অতিক্রম করে গিয়েছিলেন। তিনি কখনোই মনের ক্ষুদ্র আবেগের বশে কোন কাজ করতেন না। কাঠিয়াবাবা বলেছেন – ‘সাধুকো যুক্তিসে রহনা চাহিয়ে।‘ বাবা জীবনে যা কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পরম্পরার আদর্শকে রক্ষা করার জন্য গভীর যৌক্তিকতা নিয়েই।“
বাবাজী মহারাজের বাণী
“একজন সাধক হিসাবে, মানবতার সেবক হিসাবে আপনাকে হাসিমুখে সব সহ্য করতে হবে। কোন অবস্থাতেই মহৎ উদ্দেশ্যকে ত্যাগ করে গেলে চলবে না।। সব সময় মনে রাখতে হবে আপনার হাতে সময় খুব কম। তাই কোন সময় অলসভাবে নষ্ট করবে না। সব সময় কোন না কোন সেবামূলক কাজে নিজেকে ডুবিয়ে রাখবে। বাজে কাজে এক্মুহুর্তও নষ্ট করবে না। । অচিরেই আমরা কিন্তু বৃদ্ধ হয়ে যাব। আত্মসমালোচনা করবে। সমস্ত দিন কেটে গেলে, আমি কি করলাম সারাদিনে। প্রতিদিন এটা করতে হবে। এই আত্মসমালোচনাটাই আপনাকে সমাজের আরো ভালো করে সেবা করতে সাহায্য করবে।“