একজন সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক জানান যে বিমান সংস্থা বোমার হুমকি সম্পর্কে একটি ই-মেইল পেয়েছিল। আর এই মেল পাওয়ার পরই আর কোন রিস্ক নিতে পারেনি বিমান সংস্থা। সঙ্গে সঙ্গে খবর পাঠানো হয় গোয়া বিমানবন্দরে ও বিমান চালকের কাছে। সতর্ক করে দেওয়া হয় গোয়া বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে। তার পরেই ফ্লাইটটি ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।
নির্দেশ দেওয়া হয় জামনগরে জরুরী অবতরণের। সতর্ক করা হয় জামনগর জেলা প্রশাসন ও পুলিশকে। বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড, পুলিশ ফোর্স, ফায়ার ফাইটার এবং পাঁচ থেকে ছয়টি অ্যাম্বুলেন্সকে বিমানবন্দরে পাঠানো হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
বোমা হামলার হুমকি পাওয়ার পর গোয়ার ডাবোলিম বিমানবন্দরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয় এবং ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা এই ঘটনা নিয়ে একটি বৈঠক করেন।
এরপর মস্কো থেকে গোয়াগামী রাশিয়ার আজুর এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট জেডএফ২৪০১-কে গুজরাটের জামনগর বিমানবন্দরে অবতরণের পর ট্যাক্সিওয়েতে পার্ক করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ২৩৬ জন যাত্রী ও ৮ জন ক্রু সদস্য বিমান থেকে নামার পর তাদের বিমানবন্দরের লাউঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়। বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড এরপর বিমানটিতে তল্লাশী চালায় বলে জানিয়েছেন জামনগরের জেলা কালেক্টর সৌরভ পারধি।
অন্যদিকে, গোয়ার এক পুলিশ আধিকারিক জানান, 'খবর পাওয়ার পর আমরা ডাবোলিম বিমানবন্দরে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করেছিলাম। এখন সবকিছু ঠিক আছে এবং আমরা কিছুক্ষণ পর পুলিশ বাহিনী প্রত্যাহার করে নেব।"
ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (রাজকোট ও জামনগর রেঞ্জ) অশোক কুমার যাদব বলেন, 'মস্কো থেকে গোয়াগামী বিমানটি বোমা হামলার হুমকির কারণে জামনগর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়। অবতরণের পর ২৩৬ জন যাত্রী ও ক্রু সদস্যদের সবাইকে নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়। তিনি আরও বলেন, 'পুলিশ, বিডিডিএস ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এখন পুরো বিমানটিতে তল্লাশি চালাচ্ছে। পরে রুশ দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানায়, মস্কো থেকে গোয়াগামী আজুর এয়ারের ফ্লাইটে বোমা হামলার ঘটনায় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ দূতাবাসকে সতর্ক করেছে। বিমানটি জামনগর ভারতীয় বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে জরুরি অবতরণ করে। বিমানে থাকা সবাই নিরাপদে আছেন।