পুলিশের ডেপুটি কমিশনার পিনাক মিশ্র বলেন, ‘এ ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। আমরা আঠাগড় এলাকার গুরুদিঝাটিয়া জঙ্গলে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার দেহ দেখতে পাই। আমরা সব দিক থেকে মৃত্যুর তদন্ত করছি। মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনই বলা সম্ভব নয়। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পরই সোয়াইনের মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।‘
উল্লেখ্য, পুদুচেরিতে আসন্ন জাতীয় স্তরের টুর্নামেন্টের জন্য ওড়িশা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত একটি প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিতে এখানে এসেছিলেন পুরী জেলার এই ক্রিকেটার রাজশ্রী সোয়াইন। তবে, সোয়াইন টুর্নামেন্টের জন্য নির্বাচিত ১৬ সদস্যের দলে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হন। সোয়াইনের রুমমেট জানান, ‘বুধবার সন্ধ্যায় দলের সদস্যদের নাম ঘোষণার পর তাকে কাঁদতে দেখা যায়। এরপরই তিনি হোটেল থেকে নিখোঁজ হয়ে যান ওই হোটেলেই আমরা সবাই ছিলাম ট্রেনিং সেশনের জন্য।‘ এরপর সোয়াইনের ফোনে একাধিক ফোন করা হয়, কিন্তু সোয়াইনকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
অবশেষে, কটক শহরের স্থানীয় মঙ্গলবাগ থানায় কোচ পুষ্পাঞ্জলি বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করা হয়।
সোয়াইনের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন যে এই ডানহাতি ফাস্ট বোলার এবং মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান সোয়াইনকে হত্যা করা হয়েছে কারণ তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল এবং তার চোখ ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। তারা আরও দাবি করেছেন, নির্বাচিত অন্য অনেকের চেয়ে ভাল পারফরম্যান্স করা সত্ত্বেও সোয়াইনকে দলে জায়গা দিতে অস্বীকার করা হয়েছিল।
ক্রিকেটারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে অ্যাসোসিয়েশনের সিইও সুব্রত বেহেরা জানিয়েছেন, খুব স্বচ্ছভাবে এই নির্বাচন করা হয়েছে। বেহেরা আরও বলেন, ‘যদি স্বচ্ছতা না থাকে, তাহলে কীভাবে তিনি ২৫ সদস্যের সম্ভাব্য দলে জায়গা পেলেন?’