আসামঃ ভোগালি বিহুর প্রাক্কালে চিতা বিড়াল রান্না করতে গিয়ে তিনজন আটক

ভয়েস ৯, নিউজ ডেস্কঃ গতকাল রাতে ভোগালি বিহুর প্রাক্কালে আসামের বোকো থানার রাজাপাড়ায় চিতা বিড়াল রান্না করতে গিয়ে তিনজনকে আটক করে রাজ্য বন বিভাগ ও আসাম পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ওই ৩ জনের বিরুদ্ধে ১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইনের ৩৯, ৪৩, ৪৪, ৪৯ (বি) এবং ৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। 
 বোকো থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফণীন্দ্র চন্দ্র নাথ জানতে পারেন, রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় একটি চিতা-বিড়াল মারা গেছে। পশ্চিম কামরূপের বিভাগীয় বন আধিকারিক ডিম্পি বোরা একই সময়ে ওই খবর পান। 
 চিতা-বিড়াল (প্রিয়োনাইলুরাস বেঙ্গলেনসিস) মহাদেশীয় দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব এবং পূর্ব এশিয়ার স্থানীয় একটি ছোট বন্য বিড়াল। এটি ২০০২ সাল থেকে আইইউসিএন লাল তালিকায় "সর্বনিম্ন উদ্বেগ" হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে কারণ এদের ব্যাপকভাবে মারা হচ্ছে মাংসের লোভে। 
এছাড়া, এদের আবাসস্থলও ক্রমশঃ কমে আসছে। এবং শিকারের কারণে হুমকির মুখে রয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে, এশিয়ার চিতা-বিড়াল সুন্দা চিতা-বিড়াল মতো একই প্রজাতি হিসাবে বিবেচিত হত। ২০১৭ সালের পর এটি একটি স্বতন্ত্র প্রজাতি হিসাবে স্বীকৃত হয়। বৈজ্ঞানীক নাম দেওয়া হয় (ট্যাক্সোনমিক নাম) প্রিওনেইলুরাস জাভানেনসিস।
ডিএফও সিংড়া ফরেস্ট রেঞ্জের দায়িত্বে থাকা এসিএফ অলোক দেবকে চিতা-বিড়ালের মৃতদেহ দ্রুত উদ্ধার করার নির্দেশ দেন। ওসি ফণীন্দ্র নাথার নেতৃত্বে বোকো হারাম পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। 
এসিএফ অলোক দেব বলেন, "পুলিশ এবং আমি যখন চিতাবাঘের মৃতদেহ খুঁজতে শুরু করি, তখন আমরা দেখতে পাই যে রাজাপাড়া গ্রামের তিনজন বাসিন্দা চিতা-বিড়ালটি কেটে ফেলেছে। আমরা তৎক্ষণাৎ তাদের আটক করি এবং চিতা-বিড়ালের চামড়া ও মাংস নিয়ে যাই। পরে পুলিশ ও বন বিভাগের সদস্যরা তিনজনকে সিংড়া ফরেস্ট রেঞ্জে নিয়ে যায়। আসামিরা হলেন- গণেশ বড়ো (৪৬)। সুকলেশ্বর বোরো, ৪০; এবং রঞ্জিত চেত্রী, ৩৪ বছর। 
এসিএফ অলোক দেবের মতে, গণেশ বোরোর বাড়িতেই চিতা-বিড়ালের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল। তাদের তদন্তের আওতায় আনা হচ্ছে এবং শীঘ্রই তাদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখা হবে।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad