ধনিয়াখালি বিধানসভার বাবনান পঞ্চায়েত এলাকায় ‘দিদির দূত’ তপন দাশগুপ্ত, সঙ্গে এলাকার বিধায়িকা অসীমা পাত্র


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দিদির দূত কর্মসূচির একটা বড় অংশ হল জনসংযোগ। নির্দিষ্ট পঞ্চায়েত এলাকার বাড়ি বাড়ি ঘুরে এলাকার মানুষজন যাতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধা ঠিকমতো পাচ্ছেন কি না সেটা দেখা। 
কারও যদি কোন প্রকল্পের সুবিধা পেতে অসুবিধা থাকে, তার কারণ খুজে, সমাধানের ব্যবস্থা করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া। আর এই কর্মসূচি ঘিরে বহু জায়গা থেকেই নানা ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনার কথা সংবাদ মাধ্যমের কাছে আসছে। কিন্তু, এখনো পর্যন্ত ‘দিদির দূত’ হিসাবে বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত সাফল্যের   সঙ্গে জনসংযোগ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।



 এদিন তার নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল ধনিয়াখালি থালা এলাকার বাবনান পঞ্চায়েতের সমগ্র এলাকা পরিদর্শন, গুণীজনদের সঙ্গে সাক্ষাত পর্ব , সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শন, কর্মীদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজন সহ বিভিন্ন বৈঠক পর্ব। সকাল ৯ টায় প্রার্থনার মধ্য দিয়ে বাবনান পঞ্চায়েতের কালীতলা রেওয়াপাড়া থেকে কর্মসূচি শুরু। 

উল্লেখ্য, এই বাবনান পঞ্চায়েত এলাকাটিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজনের সংখ্যা বেশী। হিসাবমতো প্রায় ৫০%। আজ এই এলাকার মূলগ্রাম, দানরপুর, বাবনান, ভবানীপুর প্রভৃতি এলাকার মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেন বিশিষ্ট তৃণমূল নেতা তথা সপ্তগ্রাম বিধানসভার বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত। সঙ্গে ছিলেন ধনিয়াখালির বিধায়িকা অসীমা পাত্র। মধ্যাহ্ণ ভোজনের ব্যবস্থা ছিল আব্দুল হাকিমের বাড়ি। আব্দুল হাকিম বাবনান পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান। 


এরপর ‘দিদির দূত’ হিসাবে তপনবাবু বিধায়িকা অসীমা পাত্রকে নিয়ে বেশ কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করেন। এলাকার বিশিষ্ট মানুষজনের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা বোঝার চেষ্টা করেন। ভবানীপুর চৌমাথায় জনসংযোগ সভা করেন। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশাপাশি অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষজন। তপনবাবু তাদের কথা শোনেন গুরুত্ব দিয়ে। এরপর দিদির সুরক্ষা কবচ কী, সেটা সহজ ভাষায় এলাকবাসীদের বুঝিয়ে বলেন। 


এদিন বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ মানুষের মধ্যেও সাড়া ছিল বেশ। একসঙ্গে দুই বিধায়ককে পেয়ে অনেকেই তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। মনযোগ দিয়েই তাদের কথা শোনা হয়, ফলে কোথাও কোন মনোমালিন্যের খবর পাওয়া যায় নি বা বিরূপ কোন ঘটনা ঘটেনি।  অন্যদিকে, দীর্ঘদিন তৃণমূল রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এলাকার বিধায়িকা অসীমা পাত্র। তিনিও এদিন তার এলাকার সুবিধা-অসুবিধা দেখে যান। 


দিদির দূত’ ও ‘সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি কী ও তার মাধ্যমে কীভাবে রাজ্যের গ্রাম ও শহরের মানুষ উপকৃত হচ্ছেন বা হবেন, অ্যাপের মাধ্যমে কীভাবে রাজ্যের নাগরিকরা সেই সুবিধা পেতে পারেন, বা বিভিন্ন প্রকল্পের ব্যাপারে তাদের সমস্যার কথা কীভাবে জানাবেন, সে ব্যাপারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে বললেন ‘দিদির দূত’ তপন দাশগুপ্ত। 
উল্লেখ্য, গত ২ জানুয়ারী নজরুল মঞ্চে তৃণমূল সুপ্রীমো মমতা ব্যানার্জী ও জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জী সুরক্ষা কবচ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। রাজ্যের গ্রাম বা শহরের সমস্ত মানুষ যাতে ৬ টি ক্ষত্রে ১৫ টি প্রকল্পের সুবিধা পায় তা বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখবেন ‘দিদির দূত’। 



Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad