আটককৃতরা হলেন রেজিস্ট্রার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১৩-এর হোসেন আহমেদের ছেলে মোঃ ইব্রাহিম (২৩), উনচিপ্রাং রেজিস্ট্রার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্প ২২-এর নুরুল ইসলামের ছেলে মো. আমিন (৩৩), ক্যাম্প ১৩-এর সুলতান আহমেদের ছেলে মো.মঃ আরিফ (৩৩), ক্যাম্প ১৩-এর নূর হাকিমের পুত্র মোঃ মাহমুদুর রহমান (১৮), ক্যাম্প- ২২-এর হাশেমের ছেলে মোঃ কানিজ (২৪) ও বালুখালী ক্যাম্প ১৪-এর সৈয়দ আহমেদের মোঃ নবী হোসেন (২৮)।
কমান্ডার মোঃ মহিউদ্দিন জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি সোমবার শাহপরীর দ্বীপসংলগ্ন নাফ নদের মোহনায় সক্রিয় অস্ত্রধারী ডাকাত দল ফিশিং বোটে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে কোস্টগার্ড সেন্টমার্টিন স্টেশান কর্তৃক একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। ডাকাত দল কোস্টগার্ডের অবস্থান জানতে পারে তাদের বোট দিয়ে দ্রুত নাফ নদের মোহনা দিয়ে টেকনাফের দিকে পালাতে থাকে। ওই সংবাদ সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ড কর্তৃক টেকনাফ স্টেশনকে অবগত করলে টেকনাফ স্টেশন কার্যালয় থেকে চৌকস একটি অভিযানিক টিম নিয়ে ওই ডাকাতদের ধাওয়া করলে একপর্যায় ডাকাতের বোটটি রংগীখালীর নিকটবর্তী খড়ের দ্বীপে ডাকাত দলকে নামি দিয়ে দ্রুত মিয়ানমারের দিকে চলে যায়।
এ সময় ডাকাত সদস্যরা দ্বীপের মধ্যে লুকিয়ে থাকে।
তিনি আরও জানান, পরে কোস্টগার্ড সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ স্টেশনের অভিযানিক দল দ্বীপটির চতুর দিক হতে ঘিরে ফেলে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ডাকাত দলের আস্তানা হতে ৬ জন সশস্ত্র ডাকাতকে আটক করে।
পরে ডাকাত সদস্যদের তথ্যের ভিত্তিতে খড়ের দ্বীপের বনে অভিযান চালিয়ে দুটি বিদেশি পিস্তল, ৩টি একনলা বন্দুক, ২টি এলজি, একটি শটগান, ৬টি বিদেশি পিস্তল, ৪টি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ৪৫০টি তাজা গোলা, ৩৬ টি ফাঁকা গোলা, ৪টি রাম দা, ২০ হাজার পিস ইয়াবা, ২১ বোতল বিদেশি মদ, ৫৫১ ক্যানবিয়ার, ৭ সেট ডাকাতি কাজে ব্যবহারত পোশাক, ১টি হ্যান্ডকাপ, ১টি লেন্ড ফোন ও ৪টি বাটন মোবাইল উদ্ধার করা হয়। পরে আটক ব্যক্তি ও উদ্ধার মালামাল আইনি কার্যক্রমের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানান।