এ পর্যন্ত ধ্বসে যাওয়া শহরের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলোতে বসবাসরত ৬০টিরও বেশি পরিবারকে অস্থায়ী ত্রাণ কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলেজানা গেছে।জলশক্তি মন্ত্রকের একটি দল এবং ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির (এনডিএমএ) কয়েকজন সদস্য আজ জোশীমঠের চামোলির ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলি পরিদর্শন করবেন।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর একটি দল এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর চারটি দল ইতিমধ্যেই জোশীমঠে পৌঁছে গিয়েছে। এদিকে, এলাকার বাসিন্দারা এনটিপিসির তপোবন-বিষ্ণুগড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পকে তাদের দুর্দশার জন্য দায়ী করেছেন। অন্যদিকে উত্তরাখণ্ড সরকারের বিরুদ্ধেও তাদের তীব্র ক্ষোভ রয়েছে।
তাদের দাবি, ভারী নির্মাণ কাজের জন্য হিমালয়ের এই পার্বত্য শহরগুলি ক্রমশঃ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন হিমালয়ের ভঙ্গুর বাস্তুতন্ত্রকে আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে।
এলাকায় সমীক্ষা চালানো আমলা ও বিশেষজ্ঞদের একটি দলের বক্তব্য, সঙ্কট মোকাবিলায় একগুচ্ছ সুপারিশ করা হয়েছে। সমস্ত উন্নয়ন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা উচিত এবং নিকাশী চ্যানেলগুলিতে যে কোনও ধরণের জবরদখল এড়ানো উচিত।
এছাড়া, শহরের চারপাশের জমিকে স্থিতিশীল করার জন্য আরও বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
জোশীমঠে ভূমিধ্বস এবং ক্ষয়িষ্ণু অঞ্চল হিসাবে ঘোষিত হওয়ার পরে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ আরও জোরদার করা হয়েছে। চামোলির জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (ডিএম) হিমাংশু খুরানা জানিয়েছেন, যারা ভাড়া বাড়িতে যেতে চান তাদের ছ'মাস পর্যন্ত প্রতি মাসে ৪,.০০০ টাকা দেবে রাজ্য সরকার।
এছাড়া, হোটেল, হোমস্টে এবং অন্যান্য নিরাপদ স্থানে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
রাজ্যের মুখ্য সচিব সুখবীর সিং সান্ধু, ডিজিপি অশোক কুমার এবং মুখ্যমন্ত্রীর সচিব আর মীনাক্ষী সুন্দরম সহ উত্তরাখণ্ড সরকারের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ মনোহর বাগ, সিংধর এবং মারওয়াড়ি এলাকা পরিদর্শন করেন এবং জনগণকে অস্থায়ী ত্রাণ কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানান।