দক্ষিণ কোরিয়ার এবং জাপানি উপকূলরক্ষী জাহাজ এবং বিমানের পাশাপাশি দুটি বাণিজ্যিক পণ্যবাহী জাহাজ নিখোঁজ ১০ জন ক্রু সদস্যের সন্ধানে টহল দিচ্ছে। কিন্তু, প্রবল বাতাস এবং ঢেউয়ের কারণে উদ্ধারকার্য্য ধীর হয়ে যাচ্ছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার আধিকারিকরা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, স্থানীয় সময় গতকাল রাত রাত ১১ টা ১৫ নাগাদ একটি এস ও এস আসে। মঙ্গলবার জাপানের কোস্ট গার্ডের মুখপাত্র শিনিয়া কিতাহারা জানান, ৬৫৫১-টন ওজনের 'জিন তিয়েন' জাহাজটি প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা পরে ডুবে যায়।
জেজু দ্বীপের উপকূলরক্ষী বাহিনীর আধিকারিক জানিয়েছেন, জাপানের নাগাসাকি থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার (১00 মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু দ্বীপের প্রায় ১৫০ কিলোমিটার (৯৩ মাইল) দক্ষিণে এটি ডুবে যায়।
তিনি আরো জানান, জাহাজের ক্যাপ্টেন শেষবার রাত ২.৪১ টার দিকে একটি স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে উপকূলরক্ষীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, বলেছিলেন যে ক্রু সদস্যরা জাহাজটি থেকে বেরিয়ে আসছেন। জেজুর উপকূলরক্ষীর মতে, ছয়জন ক্রু সদস্যকে দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলরক্ষী জাহাজগুলি উদ্ধার করেছে। একটি পণ্যবাহী জাহাজ পাঁচ জনকে এবং একটি জাপানি মেরিটাইম সেলফ-ডিফেন্স ফোর্স জাহাজ এক জনকে উদ্ধার করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানি আধিকারিকদের মতে, ১৪ জন ক্রু সদস্য চীনা এবং আটজন মিয়ানমারের।
কিতাহারা, যিনি অন্তত চারজন ক্রু সদস্যকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, বলেছেন যে জাহাজটি ডুবে যাওয়ার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি এবং অন্য জাহাজের সাথে সংঘর্ষের কোনো লক্ষণ নেই।
জানা গেছে, জাহাজটি ৩ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ার বন্দর ক্লাং ছেড়ে দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচিওন বন্দরের দিকে যাচ্ছিল।
জাহাজটি লং ব্রাইট শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন, একটি হংকং-নিবন্ধিত কোম্পানি যা Shenzhen Shekou Shipping Transportation Co., Ltd.-এর একটি সহযোগী সংস্থা।
ছবিঃ (The Korea Coast Guard via AP) (Uncredited/The Korea Coast Guard)