শস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন রেজিমেন্টের কর্মীরা কর্তব্য পথ ধরে কুচকাওয়াজে অংশ নেবেন। এছাড়া, বিভিন্ন রাজ্যের ট্যাবলো ওই কুচকাওয়াজে প্রদর্শিত হবে। দর্শকরা কর্তব্য পথে ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিভিন্ন বিমানের ফ্লাইপাস্টও দেখতে পাবেন।
কিন্তু, এবারের প্রজাতন্ত্র দিবসের বিশেষ আকর্ষ্ণ থাকছে ড্রোন প্রদর্শন। একদিকে যেমন ৩৫০০ টি দেশীয় ড্রোন রাইসিনা পাহাড়ের উপর সন্ধ্যার আকাশ আলোকিত করবে, তেমনই কুচকাওয়াজের অংশ হিসেবে থাকছে ভারতীয় নৌবাহিনীর দেশীয়ভাবে তৈরি ড্রোন ‘বরুণার’ প্রদর্শন। এর আগে ২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে নতুনদিল্লিতে বরুণ ড্রোনের একটি
প্রদর্শনী করা হয়েছিল। জানা গেছে, এই ড্রোনটির ভারবহন ক্ষমতা ১৩০ কেজি এবং এটি একজন মানুষ বহন করতে পারে। এটি ২৫ কিমি দূরত্ব পর্যন্ত যেতে পারবে এবং এর উড়ান সময় ২৫-৩৩ মিনিট।
সাগর ডিফেন্স ইঞ্জিনিয়ারিং-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন নিকুঞ্জ পরাশর বলেন, নৌবাহিনীর 'মেক ইন ইন্ডিয়া' উদ্যোগগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বরুণাকে রিপাবলিক প্যারেডে অংশ নেওয়া।
নিকুঞ্জ পরাশর জানান, "ড্রোন বরুণার মূল লক্ষ্য হল যুদ্ধক্ষেত্রে ফ্রন্টলাইন সৈন্যদের রক্ষা করা এবং জাতীয় নজরদারি এবং নিরাপত্তা উন্নত করা।“
জানা গেছে, আগামী ২৯ জানুয়ারি বিজয় চকে বিটিং রিট্রিট অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এবার, নর্থ ব্লক এবং সাউথ ব্লকের সম্মুখভাগে একটি ৩ডি অ্যানামরফিক প্রজেকশন প্রদর্শিত হবে। অন্যদিকে, প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনের নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে চেন্নাইয়ে বুধ ও বৃহস্পতিবার ড্রোন উড্ডয়ন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।