লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা শনিবার আহতদের দেখতে গিয়েছিলেন এবং ডাক্তারদের সম্ভাব্য সমস্ত চিকিত্সা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই সন্ত্রাসী হামলায় দুই নাবালক শিশুসহ ছয় বেসামরিক নাগরিক নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১ লা জানুয়ারী সন্ধ্যায় সন্ত্রাসবাদীরা ডাংরির তিনটি বাড়িতে প্রবেশ করে এবং তাদের পরিচয় পত্র পরীক্ষা করার পরে তাদের উপর নির্বিচারে গুলি চালায়। এই গুলি চালনায় মৃত্যু হয় ৪ জনের। পরের দিন সকালে বাড়িতে লাগানো একটি আইইডি বিস্ফোরিত হলে দুই নাবালক ভাইবোন নিহত হয়। এই ঘটনাটি জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে বলে জানা গেছে।
শনিবার, রাত ৮টার দিকে, বালাকোটে (পুঞ্চ জেলা) সীমান্তে মোতায়েন ভারতীয় সেনাবাহিনীর সতর্ক সৈন্যরা সীমান্ত বেড়ার সামনে সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করে এবং পরে দুই সন্ত্রাসসবাদীকে হত্যা করে।
এক আধিকারিক বলেন, এলাকাটি ঘিরে ফেলা হয়েছে এবং অভিযান চলছে। জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরিতেও মোতায়েন করা হয়েছে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের জওয়ানদের।
গত ১ জানুয়ারি এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর ডাংরি গ্রামের স্বাসিন্দারা ওই এলাকায় নিরাপত্তা বাড়াতে বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান। রাজৌরি জেলায় দুটি জঙ্গি হামলায় সাধারণ নাগরিক হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে জম্মু ও কাশ্মীরে অতিরিক্ত ১৮ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।