পাশাপাশি, এদিন হুগলির চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতাল, ডায়মন্ডহারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দুটি ক্রিটিক্যাল ইউনিটের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে ফুরফুরা শরিফে ১০০ বেডের হাসপাতালের শিলান্যাসের কথাও ঘোষনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সাগরদত্ত হাসপাতালে ক্যানসার ইউনিট চালু করার কথাও তিনি জানান।
এদিন, হুগলির বাঁশবেড়িয়া পৌরসভার হংসশ্বরী গেস্ট হাউস থেকে সদর মহকুমা শাসকের উপস্থিতিতে সপ্তগ্রাম বিধানসভারবিধায়ক তপন দাশগুপ্ত সাধারণ মানুষজন, পড়ুয়াদের মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পৌছে দিলেন। ছাত্রীদের সাইকেল প্রদান, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড এর পাশাপাশি আরো বেশ কিছু প্রকল্পের পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন তপনবাবু।
এই অনুষ্ঠানে ভার্চ্যাল মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী হুগলি জেলার বহুমুখী পরিষেবার কথা ঘোষণা করেন। এখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের উপাধ্যক্ষ নিশেষ ঘোষ, বাঁশবেড়িয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী, ভাইস চেয়ারম্যান শিল্পী চ্যাটার্জি, সহ সমস্ত প্রশাসনের আধিকারিকগণ।
‘দুয়ারে ডাক্তার’ এর সাফল্যকে সামনে রেখে এদিন পাঁচলার সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী এসএসকেএম হাসপাতালের পথ অনুসরণ করে অন্যান্য বড় হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজগুলিকে দুয়ারে ডাক্তার কর্মসূচি শুরু করার অনুরোধ জানালেন। তিনি বলেন, এর ফলে রাজ্যের প্রত্যন্ত প্রান্তের গরীব মানুষজন উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার আওতায় আসবেন।
তিনি বলেন, রাজ্য সরকার সুন্দরবন, ঝাড়গ্রাম, কেশপুরে এই পরিষেবা দিচ্ছে। জানা গেছে, এই ‘দুয়ারে ডাক্তার’ কর্মসূচির সূচনা হয় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কোশিয়াড়িতে।
মমতা বলেন, যেখানে শুধুমাত্র প্রাথমিক হেলথ সেন্টার রয়েছে বা ভালো চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই, তার জন্য পিজি হাসপাতাল একটা মডেল তৈরি করেছে। তিনি এই মডেল অনুসরণ করে গ্রামে গ্রামে ডাক্তার পাঠানোর অনুরোধ করেন।