কিছুদিন আগে পশ্চিমবঙ্গবাসী এইরকম এক অমানবিক দৃশ্যের সাক্ষী হয়েছিলেন। অনেকে ধিক্কার জানিয়েছিলেন। কেউ বলেছিলেন, যিনি ছবি তুলেছিলেন, তার উচিত ছিল ছবি না তুলে তার জন্য চেষ্টা করা।
নেটিজেনদের বক্তব্য, ওই ছবি তোলা না হলে, সরকার কোন কথাই বিশ্বাস করত না। আর ওই ছবি সেই সমস্ত মানুষদের ধাক্কা দেবে, যারা সেইভাবেই এই ধরণের ঘটনার কথা জেনেও চুপ করে থাকে।
কিন্তু, এই ক্ষেত্রে পুলিশের মানবিক মুখ দেখেছেন নেটিজেনরা । জানা গেছে, ফেরার পথে ওড়িশার ওই ব্যক্তিকে রাস্তায় দেখতে পেয়ে পুলিশ তাকে অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ করে।
অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম জেলার সাঙ্গিভালসার একটি হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ স্ত্রী ইদে গুরুর চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন ওড়িশার কোরাপুট জেলার পোট্টাঙ্গির বাসিন্দা সামুলু পাঙ্গি।
কিন্তু তিনি চিকিৎসায় সাড়া না দেওয়ায় সেখানকার চিকিৎসকরা পাঙ্গিকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এই দম্পতি একটি অটোরিকশায় ফিরছিলেন, কিন্তু গ্রামে ফেরার পথে বিজয়নগরমের কাছে ইদে মারা যান।
এর পরে অটো চালক আর যেতে অস্বীকার করে এবং ঘটনাস্থল ছেড়ে যাওয়ার আগে তাদের চেলুরু রিং রোডে ফেলে দেয়। অন্য কোনও উপায় না পেয়ে পাঙ্গি তার কাঁধে স্ত্রীর মৃতদেহ নিয়ে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে বাড়ির দিকে হাঁটতে শুরু করেন।
এরপর ওই দৃশ্য দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। রুরাল সার্কেল ইন্সপেক্টর টিভি তিরুপতি রাও এবং গন্তিয়াদা সাব-ইন্সপেক্টর কিরণ কুমার ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং তাকে থামিয়ে দেন।
প্রাথমিকভাবে, অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ পাঙ্গির ভাষা বুঝতে পারছিল না। তিনি কী বলছেন। পরে ওড়িয়া ভাষা বোঝেন এমন আরেকজনের সহায়তায় পুলিশ পাঙ্গির মর্মান্তিক কাহিনী জানতে পারে। তারা একটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে পাঙ্গি এবং তার স্ত্রীর দেহকে তার গ্রামে ফিরিয়ে দেয়।