প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) শ্রেণি অনুযায়ী কার্বোফুরান টেকনিক্যাল এবং ফরমুলেশনের বিষাক্ততা মানুষসহ প্রাণীকূলের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় কার্বোফুরানের রেজিস্টার্ড প্রোডাক্টগুলোর নবায়ন, আমদানি ও ব্যবহার কার্যক্রম আগামী জুন পর্যন্ত চলমান থাকবে। এ সময়ের পর কোনোক্রমেই কার্বোফুরানের রেজিস্টার্ড প্রোডাক্টগুলোর বিজ্ঞাপন প্রচারসহ নবায়ন, আমদানি ও ব্যবহার করা যাবে না।
বালাইনাশক আমদানি, উৎপাদন, পুনঃউৎপাদন, বিক্রয়, বিতরণ ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ এবং এ সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধান প্রণয়নে ‘বালাইনাশক আইন-২০১৮’ এর ধারা ১৫, ১৮, ১৯, ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ধারা এবং ‘বালাইনাশক বিধিমালা, ১৯৮৫’ এ দেয়া ক্ষমতাবলে সরকার এ আদেশ জারি করেছে।
দানাদার কীটনাশক কার্বোফুরান প্রতিরোধক ও প্রতিষেধক হিসাবে কাজ করে। অর্থাৎ পোকা লাগার আগে কার্বোফুরান ব্যবহার করলে পোকা লাগবে না এবং পোকা লাগার পর ব্যবহার করলে পোকা মারা যাবে।
এটি মানবস্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। এর সংস্পর্শে আসলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারেন মানুষ। কার্বোফুরানের একটি দানা একটি পাখি মেরে ফেলতে পারে।
পাখিরা প্রায়ই ভুল করে বীজের বদলে এ কীটনাশক খেয়ে মারা যায়। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এ কীটনাশকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।