মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এই পরিবর্তন বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে। আগামিকালই তপনবাবু যাচ্ছেন ফুরফুরা শরীফ।
জানা গেছে, ফুরফুরা শরীফ ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের চেয়া্রম্যান নির্বাচন করা হয়েছে তপন দাশগুপ্তকে। অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে আছেন হুগলির জেলাশাসক, বিধায়ক স্বাতী খন্দকার, বিধায়ক তথা মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী, হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি শেখ মেহবুব রহমান, শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়, ফুরফুরা পঞ্চায়েতের প্রধান শামীম আহমেদ প্রমুখ।
এই পরিবর্তন সম্পর্কে বলতে গিয়ে তপনবাবু সংবাদ ভয়েস ৯ কে জানান, “ফিরহাদ হাকিম ব্যস্ত হয়ে পড়ায়, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তবে, ফুরফুরার উন্নতির জন্য ফিরহাদ হাকিম অনেক কাজ করেছেন। তবু কোথাও যদি ঘাটতি হয়ে থাকে, সেটা পর্যালোচনা করা হবে। কালই আমি ওখানে গিয়ে কাশিম সিদ্দিকি, নাজিম সিদ্দিকি সাহেবদের সঙ্গে দেখা করবো। এরপর কীভাবে এলাকার সাধারণ মানুষজনের উন্নতির জন্য কাজ হবে সেটা নিয়ে আমরা পরবর্তী পর্যায়ে বৈঠক করব।
আর তার ঠিক পরেই, জেল থেকে বেরিয়েই আইএস এফ বিধায়ক নৌসাদ সিদ্দিকি ফুরফুরা রওনা দেন। ফুরফুরা যান সাগরদীঘি থেকে নির্বাচিত বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস। স্বভাবতইঃ এই বিষয়গুলি নজরে ছিল তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেত্রীর।
সাগরদীঘিতে সংখ্যালঘু ভোটের প্রায় সবটাই তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার কারণ বিশ্লেষণের একটা আদেশ দলীয় স্তরে দেওয়া হয়েছিল। এর উপর, সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এইরকম পরিস্থিতিতে, এমন একজন ব্যক্তিকে এই দায়িত্ব দেওয়া হল, যিনি হুগলি জেলার এমন একজন তৃণমূল নেতা, যিনি এই এলাকার সঙ্গে বিশেষভাবে পরিচিতই শুধু নন, যাকে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি নিয়ে কোথাও কোন ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়নি।
এছাড়া, সাধারণ ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজনের সঙ্গে তপনবাবুর সম্পর্ক অনেকটাই গভীর। আর সেটা মমতা ব্যানার্জী যখন বিরোধী রাজনীতি করতে শুরু করেন, তখন থেকেই। মমতা ব্যানার্জী যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী থাকাকালীন তপনবাবু ছিলেন তার সঙ্গী।
বামফ্রন্টের অত্যাচারে বাংলা মানুষ ও বিরোধীরা যখন দিশেহারা, তখন তপনবাবু আন্দোলনের উত্তাপকে পৌছে দিয়েছিলেন সমাজের সকল স্তরে। সারা বছরই তিনি নানাভাবে জনসংযোগের মধ্যেই থাকেন বলে জানা গেছে।