নাঃ এটা সত্যি ঘটনা। দীর্ঘ ৮২ বছর ধরেই চলে আসছে এই সামাজিক আচার। ধুলওয়াদের দিন গ্রামের নতুন জামাইকে গাধার উপর বসিয়ে পুরো গ্রাম ঘুরে বেড়াতে বাধ্য করা হয় এবং তারপর তার সঙ্গে হোলিও খেলা হয়। এখানকার লোকেরা এই ঐতিহ্যটি অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে পালন করে।
গল্পটা হলো - বহু বছর আগে এই গ্রামে বসবাসকারী ঠাকুর আনন্দ দেশমুখ পরিবারের এক জামাই হোলি খেলতে অস্বীকার করেছিলেন। তখন তার শ্বশুর তাকে রঙ খেলার জন্য রাজি করানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, জামাই রাজী হয়না। কাজেই, ওই জামাইকে ফুল দিয়ে সাজানো একটি গাধার উপর বসানো হয়। তারপর, তার গলায় জুতার নেকলেস পরিয়ে গ্রামে একটি মিছিল বের করা হয়েছিল। সবশেষে, জামাইকে মন্দিরে নিয়ে আসা হয়েছিল।
এই গেল গল্প।
কিন্তু, ওই গল্পটা ওখানে শেষ হয়নি।
ঘটনাটা হোলির একটা সামাজিক প্রথায় পরিণত হয়ে গেছে গত ৮২ বছর ধরে। জামাই যে জাত বা যে পেশার হোক না কেন, তার যতই সামাজিক সম্মান থাকুক না কেন, হোলির দিনে, তাকে গাধায় চড়ে, গ্রাম ঘুরে, ব্যান্ড বাজিয়ে মন্দিরে যেতেই হবে। নতুন জামাই এর এটা পালনীয় কর্তব্য।
অনেক সময় গ্রামের কিছু জামাই এসব এড়াতে আত্মগোপন করে বা পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু, গ্রামবাসীরা তাদের উপর নজর রাখে যাতে এই ঐতিহ্য অব্যাহত থাকে।
তবে, শেষ ভালো, যার সব ভালো। সবশেষে, মন্দিরে পুজোর পর শ্বশুর জামাইকে মিষ্টি খাইয়ে উপহার দিয়ে সম্মান জানান।
প্রতিবছর, নতুন জামাইরা এভাবেই হোলিতে অংশ নেয়। বর্তমানে ওই গ্রামে ২০০ জন জামাই আছে। ঘটনাটি হলো মহারাষ্ট্র রাজ্যের বিড গ্রামের।