সেই অনুযায়ী আইন টি কার্যকর হওয়ার পর থেকে দায়ের হওয়া মোট ৫,৯০৬টি অভিযোগের ২.৯৮ শতাংশ।
২০০২ সালে প্রণীত পিএমএলএ-র কঠোর ধারাগুলি ২০০৫ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ইডিকে।
এই ধারাগুলির ফলে এজেন্সি তদন্তের পর্যায়ে অভিযুক্তের তলব, গ্রেপ্তার, সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করার ক্ষমতা পায়।
এই কেন্দ্রিয় তদন্ত সংস্থা ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ), ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট (ফেমা) এবং পলাতক অর্থনৈতিক অপরাধী আইন (এফইওএ) এর অধীনে তার পদক্ষেপের তথ্য প্রকাশ করেছে।
ইডির দেওয়া সাম্প্রতিক তথ্য বলছে যে মোট ৫,৯০৬ টি ইসিআইআর দায়ের এর মধ্যে মাত্র ৮.৯৯ শতাংশ বা ৫৩১ টি মামলায় এজেন্সির গোয়েন্দারা তল্লাশি বা অভিযান চালিয়েছিল। এই ৫৩১টি মামলায় জারি করা তল্লাশি পরোয়ানার সংখ্যা ৪ হাজার ৯৫৪টি। তথ্য অনুযায়ী, মানি লন্ডারিং বিরোধী আইনের অধীনে সংস্থাটি মোট ১,১৫,৩৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে।
ইডি জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত এই দেওয়ানি আইনের অধীনে মোট ৩৩,৯৮৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ১৬,১৪৮টি মামলার তদন্ত নিষ্পত্তি হয়েছে। ফেমার অধীনে মোট ৮,৪৪০ টি কারণ দর্শানোর নোটিশ (তদন্ত শেষ হওয়ার পরে) জারি করা হয়েছিল, যার মধ্যে ৬,৮৪৭ টি বিচার করা হয়েছিল।
মানি লন্ডারিং বিরোধী আইনে সাজাপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫ জনে। তথ্য অনুযায়ী, দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার ৯৬ শতাংশের মতো বেশি।
এই দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ফলে ৩৬.২৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল এবং আদালত দোষীদের বিরুদ্ধে ৪.৬২ কোটি টাকা জরিমানা করেছিল।