সোমবার (১৭ এপ্রিল) গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কোনাবাড়ী জোনের সহকারী কমিশনার দিদারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত মনোয়ারা বেগম রেখা (৪০) গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীন তেঁতুই বাড়ি এলাকার আব্দুল মান্নানের মেয়ে এবং ইব্রাহিম হোসেনের স্ত্রী।
জিএমপির সহকারী কমিশনার দিদারুল ইসলাম স্বজনদের বরাত দিয়ে জানান, শনিবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে নিখোঁজ হন মনোয়ারা বেগম রেখা। স্বজনেরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাননি।
এ ঘটনায় তার ছোট ভাই রাকিব থানায় অভিযোগ করেন। রেখা বাবার বাড়িতে থেকে বাড়ি দেখাশোনা করতেন। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রবিবার সন্ধ্যায় বাড়ির দ্বিতীয় তলার ভাড়াটিয়া জাকির-হাবিবার তালাবদ্ধ ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় ওই ঘরের খাটের নিচ থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়।
পু
লিশের এই কর্মকর্তা জানান, জাকির-হাবিবা দম্পতি নিহতের বাবার বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ভাড়া থেকে স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। বকেয়া পাঁচ মাসের বাড়ি ভাড়া পাওনা রয়েছেন তাদের কাছে। লাশের হাত ও পা নাইলনের রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। প্রচণ্ড গরমের কারণে লাশে পচন ধরে বিকৃতি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ঘটনার পর থেকে ভাড়াটিয়া জাকির-হাবিবা দম্পতি পলাতক রয়েছে। তাদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে। ভুক্তভোগীকে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যার পর লাশটি গুম করার উদ্দেশে বস্তাবন্দি করে খাটের নিচে লুকিয়ে রাখা হয়। ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রকৃত তথ্য জানা যাবে। তবে নিহতের স্বজনদের দাবি, পাওনা টাকা চাইতে যাওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছে।