ডাক বিভাগে চাকরির সময় ভুয়া সার্টিফিকেটঃ সিবিআই তদন্তের দাবি ওড়িশার ডাক বিভাগের

ভয়েস ৯, নিউজ ডেস্ক, ওড়িশাঃ ওড়িশা সার্কেল হেড অফ ইন্ডিয়া পোস্ট কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোকে (সিবিআই) রাজ্যে জাল সার্টিফিকেট চক্রের তদন্ত করার জন্য অনুরোধ করেছেন। ওড়িশা সার্কেলের পোস্টমাস্টার জেনারেল (পিএমজি) ভুবনেশ্বরের সিবিআই সুপারিনটেনডেন্টকে চিঠি লিখে ভুয়ো সার্টিফিকেট চক্রের তদন্ত করতে বলেছেন। 
তিনি আরও জানান, বিভিন্ন জেলায় চাকরি পাওয়ার জন্য কিছু প্রার্থীর সার্টিফিকেট এবং মার্কশিট জাল হিসাবে সনাক্ত করার পরে ডাক বিভাগ সিবিআইয়ের সহায়তা চেয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে শাখা পোস্টমাস্টার, সহকারী শাখা পোস্টমাস্টার এবং ডাক সেবকের মতো গ্রামীণ ডাক সেবক (জিডিএস) পদের সমস্ত নিয়োগের তদন্ত করার জন্য সিবিআইকে অনুরোধ করা হয়েছে। 
 বালাঙ্গির জেলায় ৩৭ জন প্রার্থী ছয়টি বিষয়ে ৯৮ থেকে ৯৯ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন বলে ডাক বিভাগ আবেদনকারীদের শংসাপত্র যাচাই শুরু করার পরে এই জালিয়াতির ঘটনা সামনে আসে। তবে তারা ইংরেজিতে আবেদন পত্র লিখতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন ডাক বিভাগের কর্মকর্তারা। 
জিডিএস পদের জন্য কোনো লিখিত বা মৌখিক পরীক্ষার প্রয়োজন নেই, আবেদনকারীদের তাদের মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
 তাই, কিছু প্রার্থী উত্তর প্রদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদ কর্তৃক ইস্যু করা ভুয়া মার্কশিট এবং সার্টিফিকেট ব্যবহার করে এই চাকর িপেয়েছে। ডাক বিভাগের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরে বালাঙ্গির পুলিশ প্রধান অভিযুক্ত মনোজ মিশ্র সহ কমপক্ষে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল।
গত ৩১ মার্চ ওড়িশার ডিজিপি সুনীল বনসল এই চক্রের তদন্তের নির্দেশ দেন। ডিএসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিকের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল এই তদন্ত চালাচ্ছে। তদন্তের সময়,মনোজ মিশ্র ক্রাইম ব্রাঞ্চের কাছে জানিয়েছিলেন যে উত্তর প্রদেশের এক বাসিন্দা তাকে এই কেলেঙ্কারিতে সাহায্য করেছিলেন। কর্ণাটক, কেরালা, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, রাজস্থান ও সিকিমের বিভিন্ন বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দেড় হাজারেরও বেশি ভুয়া সার্টিফিকেট জব্দ করেছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। 
কটক, কোরাপুট, কান্ধমাল, কেন্দ্রপাড়ায়ও ভুয়ো সার্টিফিকেটের এই ধরনের ঘটনা সামনে এসেছে, যার বেশিরভাগই বালাঙ্গিরের সাথে যুক্ত। 
 পুলিশ জানিয়েছে, বেশিরভাগ জাল সার্টিফিকেট বালাঙ্গিরে তৈরি করে সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা ৪০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানে ৫০,০০০ থেকে ৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি করা হয়। ভুয়া সার্টিফিকেটটি কেবল ডাক বিভাগের চাকরির জন্য নয়, শিক্ষকতার চাকরির জন্যও কিছু প্রার্থী ব্যবহার করেন। এই রিপোর্টের পর স্কুল ও গণশিক্ষা বিভাগও এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। 
প্রাথমিক শিক্ষা অধিকর্তা জ্যোতি রঞ্জন মিশ্র জানিয়েছেন, ব্লক ও জেলা শিক্ষা আধিকারিকদের দু'দিনের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad