এই পৃথিবীর না-মানুষদেরও তিনি গভীর পর্যবেক্ষণ করে বেশ কিছু সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলেন। যেগুলি একটি দীর্ঘ চিঠিতে লিখে মাইকেল নরমাল গ্লিন ডেভিসের এক প্রশ্নের উত্তর হিসাবে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু, সেই চিঠিটি হারিয়ে যায়। জানা যায়, তিনি এই চিঠি লেখেন ১৯৪৯ সালের ১৮ ই অক্টোবর।
এই চিঠিতে তিনি জীব্বিজ্ঞান ও পদার্থ বিজ্ঞানকে একটা সূত্রে বাধেন। উভয় বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করেন, মনুষ্যেতর প্রাণীদের বেশ কিছু অদ্ভুত ক্ষমতার বৈজ্ঞানীক ব্যাখ্যা।
তিনি লিখেছেন - পাখিরা তাদের চোখে বিশেষ ফটো-রিসেপ্টর ব্যবহার করে পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রটি অনুধাবন করতে পারে। এই ফটোরিসেপ্টরগুলি গ্রহের চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের সূক্ষ্ম পরিবর্তনগুলির ব্যাপারে বেশ সংবেদনশীল, যার ফলে তারা ভূমি এবং উন্মুক্ত সমুদ্রের বিস্তৃত এলাকা জুড়ে হাজার হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারে, পথ না হারিয়ে।
পরিযায়ী পাখির নেভিগেশন নক্ষত্র, সূর্য, ভূচৌম্বকীয় ক্ষেত্র এবং পোলারাইজড আলোর মতো একাধিক সংবেদনশীল সংকেতগুলির উপর নির্ভর করে।
পরিযায়ী পাখি এবং বাহক পায়রার আচরণ ব্যাখ্যা করতে পারে, এরকম কোন বৈজ্ঞানীক ব্যাখ্যা তখন ছিল না, কিন্তু আইনস্টাইন তার ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন।
নেচার গবেষকদের প্রকাশিত চিঠির এক গবেষণায় বলা হয়েছে, আইনস্টাইনের কল্পনা শক্তি ও অন্তর্দৃষ্টি আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে।
কেবলমাত্র একজন গণিতবিদ এবং তাত্ত্বিক পদার্থবিদ ছিলেন না আইনস্টাইন, জীববিজ্ঞান ও মানবতার প্রতি তাঁর বিস্তৃত আগ্রহ ছিল।
গবেষকরা আরও দেখিয়েছেন যে ই সামুদ্রিক কচ্ছপ, কুকুর এবং মৌমাছিরাও গ্রহের চৌম্বকীয় ক্ষেত্রগুলি অনুধাবন করতে পারে।
আইনস্টাইন কয়েক দশক আগে অনুধাবণ করেছিলেন যে বেশ কয়েকটি প্রাণী সত্যিই চৌম্বকীয় ক্ষেত্রগুলি উপলব্ধি করতে পারে এবং নেভিগেশনের জন্য এই জাতীয় তথ্য ব্যবহার করতে পারে।